শুরু হলো ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-২। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ই-বর্জ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশের সুরক্ষায় এ উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় যে কোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, টিভি বা অন্যান্য আইটি পণ্য জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা কিংবা ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্টে ওয়ালটনের নতুন কম্পিউটার পণ্য কেনা যাবে। এ সুবিধায় কেনা ওয়ালটন পণ্যের মূল্য ৬ মাসের কিস্তি এবং ৩
মাসের ইএমআই সুবিধায় পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা কিংবা অনলাইনের ওয়ালটন ই-প্লাজা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এসব সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত এক লঞ্চিং প্রোগ্রামে এসব ঘোষণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-২ উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু
ও হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটন ডিজি-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, ফিরোজ আলম, আমিন খান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজিজুল হাকিম ও জিনাত হাকিম, ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান
রাদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে এতো দ্রুততার সাথে এতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করা বিশ্বে খুবই কম নজির আছে। ওয়ালটনের কারণে সারা বাংলাদেশে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ওয়ালটন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। দেশ ও দশের প্রতি ওয়ালটনের যে ডেডিকেশন, তা আমি খুব কম প্রতিষ্ঠানে দেখেছি। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যে শক্তি ধারণ করছে, ওয়ালটন তার অংশীদার।
ওয়ালটন এমডি গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখছি এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হবো, স্বনির্ভর হবো।
এর পেছনে সাসটেইনেবিলিটি একটি বিশাল ফ্যাক্টর। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে ওয়ালটনই দুই বছর আগে প্রথম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করে। ওয়ালটনের এই সাসটেইনেবল উদ্যোগের নাম ‘বেটার
বাংলাদেশ টুমরো’। এর উদ্দেশ্য সবার মাঝে সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাক্টর জাগিয়ে তোলা, যাতে আমরা তা অনুভব ও ধারণ করি। তিনি আরো বলেন, এর আগে আমরা টেলিভিশন ও এয়ার কন্ডিশনারে এক্সচেঞ্জ অফার দিয়েছি। ল্যাপটপে
দ্বিতীয়বার এমন সুযোগ দেয়া হলো। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের এসব কার্যক্রম চলমান থাকবে। ই-বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হবে, দেশ লাভবান হবে।