মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার মান বাড়াতে রাজধানীর প্রায় ২০০টি স্থানে চালু হচ্ছে ফাইভ-জি। এ পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
একনেকে অনুমোদিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫-জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঢাকার দুইশ স্থানে ফাইভ-জি হবে। এজন্য ভিন্ন একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পেয়েছি। ৬ আগস্ট প্রকল্প প্রস্তাবনা আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেটা যাচাই করছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় এ সেবা চালু হবে।
শুরুতে ঢাকার কোন কোন এলাকায় ৫-জি চালু হবে সেই বিষয়ে কমিশন সদস্য বিস্তারিত জানাননি।
মামুন আল রশীদ বলেন, প্রকল্পের নাম দেখে কারো মনে হতে পারে এ প্রকল্প শেষ হলেই ৫-জি সেবা চালু হবে। বিষয়টি তা নয়। বিদ্যমান ২-জি, ৩-জি ও ৪-জি’র যে অবকাঠামো রয়েছে সেটার মধ্যে কাজ করা হবে। ৫-জিতে যাওয়ার যে টার্গেট রয়েছে সেটার প্রস্তুতি হিসেবে এ প্রকল্পে আমরা কিছু যন্ত্রপাতি স্থাপন করব।
এ সময় টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৬০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং বাকি দুই হাজার ২০৪ টাকা রাজস্ব খাত থেকে ব্যয় হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।