অগ্রিম মূল্য নিয়ে গ্রাহকদের পণ্য না দেবার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমানউল্লাহ, সাবেক সিইও সোনিয়া মেহজাবিনসহ পাঁচ জন মালিকের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। ইতোমধ্যেই সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমানউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্র্যান্ড এম্বাসেডর মাশরাফি বিন মর্তুজা হলেও তাঁরই প্রচেষ্টায় গ্রেফতার হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিকরা। ই-অরেঞ্জের মালিকদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন মাশরাফি।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাশরাফির বাসার সামনে জমা হওয়া বিক্ষুব্ধ ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের দাবি দাওয়া নিয়ে রিপোর্ট করা গণমাধ্যমকর্মী অমৃত মলঙ্গী। গ্রাহকদের সাথে মাশরাফির আলোচনা এবং এ বিষয়ে মাশরাফির বিস্তারিত সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন তিনি, পুরো সময় মাশরাফির বাসায় তার পাশে ছিলেন অমৃত। তিনি বলেন, বাসার বাইরে কয়েক হাজার উত্তেজিত যুবককে দেখে পালিয়ে যাননি মাশরাফি, বরং দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে সামনে চলে আসেন তিনি। মাশরাফির শুভাকাঙ্ক্ষী কয়েকজন ই-অরেঞ্জের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া এবং মিডিয়ার সামনে না আসার জন্য মাশরাফিকে অনুরোধ করলেও মাশরাফি কারোর কথাই শোনেননি। এসময় প্রায় তিন হাজার বিক্ষুব্ধ গ্রাহকের সামনে এসে মাশরাফি বলেন, “আমি মালিককে খুঁজছি। যতক্ষণ না পাই খুঁজব। এই ছেলেগুলোর এত টাকা মেরে দেয়ার অধিকার তাদের নেই।” ই-অরেঞ্জ এর মালিকরা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করেন মাশরাফি। এরপর বিক্ষোভকারীদের গুলশান থানায় ইঅরেঞ্জের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন তিনি।
মাশরাফির প্রচেষ্টাতেই ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ এর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং সিওও আমানউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রাহক হয়রানি এবং টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগে গুলশান সড়ক অবরোধ করে ভুক্তভোগীরা। এরপর পণ্য আদায়ের দাবি নিয়ে ই-অরেঞ্জ এর সাবেক অ্যাম্বাসেডর জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে আলোচনা করতে তার বাসার সামনে জড়ো হন কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।