বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইঅরেঞ্জ শপের ৫১ জন গ্রাহক গতবছর মে, জুন, জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের জন্য টাকা পরিশোধ করে এখন সর্বস্বান্ত। টাকা পরিশোধ করলেও পণ্য সরবরাহ না করায় ৫১ জন গ্রাহকের ৩,৭৫,৭৫,৯৯৩ টাকা পেমেন্ট গেটওয়ে এস এস এল এর একাউন্টে আটকে আছে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোন ই কমার্স প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে পরিশোধিত অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গ্রাহকগণ অনেক চেস্টা করেও উক্ত টাকা ফেরত না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হন। গত কয়েক বছরে এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারের কার্যকরী নজরদারির অভাবের সুযোগে গ্রাহক আকর্ষণে বিভিন্ন অফার, ডিসকাউন্ট নামে গ্রাহকদের প্রলুদ্ধ করে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। ই অরেঞ্জের এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্তসহ গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমারস অ্যাসোসিয়েশন এবং ই-অরেঞ্জ এর ৫১ গ্রাহকের পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
ই-অরেঞ্জের বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা ও অর্থ পাচার উল্লেখ করে বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যংকের গর্ভনর, নগদ, বিকাশ, এস এস এল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ে সহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অনলাইন ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতে অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা, টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মত ই-কমার্স ভিত্তিক অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ইঅরেঞ্জ প্রতিষ্ঠার মাত্র দুয়েক বছরের মধ্যে বিভিন্ন অফারের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১১০০কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী এই কোম্পনী বিপুল অর্থ ইতিমধ্যে বিদেশে পাচার করেছে। ই-ওয়ালেট, গিফ্ট কার্ডসহ আরো অন্যান্য অ-অনুমোদিত পদ্ধতিতে লেনদেন করে গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সম্ভাবনা সেটিও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। নোটিশ গ্রহীতারা কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।
ভুক্তভোগী নোটিশ প্রেরণকারী গ্রাহকদের সমুদয় টাকা ফেরত প্রদান, দুদকের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ইঅরেঞ্জ কর্তৃক পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নিরুপণ করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এ পর্যন্ত ইঅরেঞ্জ মোট কত টাকা লেনদেন করেছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা বাংলাদেশ ব্যাংক এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-অরেঞ্জ এর নোটিশ প্রেরণকারী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানাতে নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে। আজ ইমেইল যোগে বিবাদীদের উক্ত নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
২টি মন্তব্য
আমরা যারা গ্যাহক, আমার কথায় বলি আমি একটা মোটর সাইকেল কিনার জন্য ১৮ জুন ই ওরেনজ থেকে সামার ভাউচার কিনে ছিলাম ১০০০০০ টাকার। কিন্তু আমি এ-ই ভাউচার দিয়ে না পেরেছি মোটরসাইকেল ওডার করতে। ই ওরেনজ কাডে টাকা আসলে সেই টাকা ও-ই ভাবে আছে।
৪৫ দিনের ভিতরে পণ্য না দিতে পারলে যে ভাবে টাকা দিয়ে ছিলাম ও-ই ভাবে টাকা ফেরত দিলে হয়ে যায়।
এখানে SSl আমাদের টাকা আটকে রেখেছে।
স্যার আমার অনেক কষ্টের টাকা পালসার বাইকটি ক্রয়ের জন্য ৯৫০০০ টাকা পেমেন্ট করেছি কন্তু কোনো কিছু ক্রয় করতে পারিনি আপনাদের নিকট আমার আকুল আবেদন আমার আটকিয়ে থাকা টাকা উদ্দার করার জন্য বনিত অনুরত যানাচ্ছি
নাম: মেহেদী হাসান
মোবাইলঃ 01863341962
নগদ এ পেমেন্ট করেছি
অডার আইডিঃ 210620133717SUYJAFEISRJEW
AMOUNT: 95000 Taka