গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ই-ওরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে সোনিয়া ও তার স্বামী আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ দিকে মাসের পর মাস বিলম্ব করেও পণ্য না দেওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। উক্ত মামলার আসামিরা হলেন- সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান, আমানুল্লাহ, বিথী আক্তার, কাওসার ও ই-অরেঞ্জের সব মালিক। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে কতজন মালিক রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি মামলায়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একজন গ্রাহক বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
মামলার আসামিরা হলেন : মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিকরা। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে।
মামলার বাদী ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। তবে তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জনও মামলা দায়েরের সময় উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজাহারে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।
উল্লেখ্য, অর্ডার করা পণ্য পেতে সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। সড়ক অবরোধের এক পর্যায়ে রাতেই বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা তার সঙ্গে দেখা করতে মিরপুর-১২ তে তার বাসায় যান।