আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ই-কমার্স বান্ধব বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে আজ ১৬ ফ্রেব্রুয়ারী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও ই-ক্যাব এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হয়। রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রাহমাতুল মুনিম এর সভাপতিত্বে বোর্ডের উধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। ই-ক্যাবের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
ই-ক্যাবের বাজেট বিষয়ক প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ই-কমার্স সেক্টরকে উৎসে করের আওতা বহি:ভূতকরণ, ই-কমার্স সেক্টরের মার্কেটপ্লেস ও রিটেলারকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িতকরণ, ই-কমার্সের গুদামঘর বা ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের ভাড়ার উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারকরণ এবং প্রচলিত দোকানের সাথে ই-কমার্সের ভ্যাট ট্যাক্স বৈষম্য নিরসন। এছাড়া ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার প্রস্তাব করা হয়।
ই-ক্যাবের উপস্থাপনায় বলা হয়, অর্থ আইন, ২০১৬ (৪৪ )-এর ৪২সি অনুযায়ী নূন্যতম করের ক্ষেত্রে “Gross Receipts” ন্যুনতম সীমা রয়েছে তাদের জন্য শিল্প ধরণ বিশেষে নূন্যতম কর হার ধার্য করা হয়। এক্ষেত্রে টেলিকম ও সিগারেট কোম্পানি ছাড়া অন্য সব কোম্পানির জন্য “Gross Receipts” এর ০.৬% নূন্যতম কর হার ধার্য করা হয়। ই-কমার্স এখনো লাভজনক নয় বিধায় তাদের ক্ষেত্রে এটি ০% করার প্রস্তাব করা হয়।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, গতবার সরকার আমাদের আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ই-বুক ও অনলাইন এডুকেশন এর উপর সব ধরনের ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। আমাদের আরো কিছু সমস্যা রয়েছে যেমন সোর্স ট্যাক্স ও কোনো ক্ষেত্রে দ্বৈত কর। এসব বিষয় আইনের ধারা উল্লেখপূর্বক প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি রাজস্ব বোর্ড বিষয়টি বিবেচনা করবে। আমরাও রাজস্ব আদায়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই কিন্তু সেটা এই খাতকে বাঁধাগ্রস্থ করে নয়।
ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, আমরা মনে করে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুফল মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌছানোর জন্য ই-কমার্স খাতের আরো প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন তাই ই-কমার্স বান্ধব বাজেট প্রনয়নে আমাদের দাবীসমূহ আমরা তুলে ধরেছি। ই-ক্যাবের কোনো সদস্যকে ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায়ের নামে রাজস্ববোর্ড কর্মকর্তারা যেন হয়রানি না করেন সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এছাড়া সরবরাহকারীর ভ্যাট চালান শর্ত প্রত্যাহার এবং টেকওয়ে বা অনলাইন ফুডের উপর ভ্যাট ১৫% থেকে কমিয়ে ৫% আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়। এ ব্যাপারে ই-ক্যাবের প্রতিনিধিগণ তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন আজকের ডিল এর প্রধান নির্বাহী জনাব ফাহিম মাশরুর, রকমারি ডট কম এর প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসান সোহাগ, ই-ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন, ফুডপান্ডার প্রতিনিধি আওরঙ্গজেব হোসেন, দারাজ প্রতিনিধি সামসুল আলম মাসুদ ও অন্যান্যরা।