ডিজিটাল পল্লীর সুবিধাভোগী হবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। কোভিডে ই-কমার্স এর বিস্তৃতি ঘটেছে পাঁচ বছর আগেই। আমি আশা করছি, ডিজিটাল পল্লীর মাধ্যমে মানিকগঞ্জের সাঁটুয়ারিয়া তাঁত বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভীষণভাবে সমাদৃত হবে। বেনরসী, জামদানির মতো তাঁতের শাড়িও মানুষ পছন্দ করবে। বিক্রি হবে। আজকে আমি যখন স্টলগুলো ঘুরেছি তখন ১২ আনাই বিক্রি হয়ে গেছে। এতে বোঝা যায়, আগামীতে এর জনপ্রিয়তা কোথায় পৌঁছবে। কোভিডে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। এই উদ্যোগে তাদের ভাগ্য ফিরতে বাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা পূর্ণতা পেলো বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্য মন্ত্রী। রবিবার (২৯ মে ২০২২) রাজধানীর ধানমন্ডির মেরিয়ট কনভেনশন সেন্টারে ডিজিটাল পল্লী কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিপিসি’র সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল পল্লী কার্যক্রমের ওপর একটি উপস্থাপনা পেশ করেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। যেখানে কীভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তার রূপরেখা তুলে ধরা হয়। ই-ক্যাব জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভনের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্যে মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্পটির পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ই-ক্যাব সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিজনে স প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) যৌথ উদ্যোগে চলমান এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জ জেলার পণ্য নিয়ে ইডিসি’র প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার সহ ৩০ জন উদ্যোক্তাকে নিয়ে সকাল থেকে ডিজিটাল পল্লী মেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে উদ্যোক্তারা তাঁত দিয়ে তৈরি নান্দনিক নকশার বাহারি পোশাক প্রদর্শন করে।