“রাসেল ভাই নিরাপরাধ। ই-কমার্স সাইটকে যিনি ধীরে ধীরে শ্রেষ্ঠ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাকে আটক করার কোন মানে নেই। শেষে এসে আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ এখনও পণ্য না পেলেও এটা সত্য কিন্তু হাজার হাজার মানুষ যে এখান থেকে উপকৃত হয়েছে যেটা তো কেউ বলছে না। আমরা এখন যারা টাকা দিয়ে আটকে আছি আমাদের কথা বিবেচনা করে হলেও সরকারের উচিৎ তাকে ছয় মাস সময় দেওয়া। তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন। ব্যাবসা করতে দিন।”- বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও স্ত্রী শামীমা নাসরিন (প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান) গ্রেফতারের পর তাদের মুক্তির জন্য বিক্ষোভ মিছিলে এ কথা বলেন গ্রাহকরা।
তারা আরো বলেন,‘রাসেল ভাইকে গ্রেফতার করা হলে গ্রাহকরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্ণধারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কেউই তাদের অর্থ ফেরত পাননি।তাকে যথাযথ নজরদারির মধ্যে রেখে আরও কিছুদিন সময় দেওয়া উচিত। একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তাকে গ্রাহকদের টাকা ফেরত বা পণ্য দিতে বাধ্য করা যেতে পারে। তাকে ধরে নিয়ে গেলে গ্রাহকরা পণ্য বা টাকা কিছুই পাবেন না।’
আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বাসা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে র্যাবের সাদা গাড়িতে করে সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে ইভ্যালি। এর মধ্যে গত ২৫ আগস্ট ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব চায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক সভায় ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি।
এরপর গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি রাসেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলার পর বাসায় অভিযানে গিয়ে র্যাব দুজনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর)।