তরুণদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীলতাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে শুরু হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনের তৃতীয় আসর। শনিবার কারওয়ানবাজার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এই হ্যাকাথনের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর ঘোষনা দেওয়া হয়।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে একযোগে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আইডিয়া রাউন্ড দিয়ে শুরু হবে উদ্ভাবনী ধারণা অন্বেষণে এই আয়োজন। টেকসই ধারণা দিয়ে লাখপতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সমস্যার সমাধান দেয়ার এই সুযোগ নিতে নিবন্ধন করতে হবে অনলাইনে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে পরবর্তি পর্যায়ের যে কোন বাংলাদেশি নাগরিক সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিটিও ফোরাম এর সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, তরুণদের যদি সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের সকল ইনোভেটিভ আইডিয়া কে সঠিক নার্সিং করা যায় তবেই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাই দেরি না করে নিজেদের আইডিয়া গুলোকে সামনে নিয়ে আসতে এবং এসকল আইডিয়ার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব ডঃ বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ডিজিটাল হাবে পরিনত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথন একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে, তিনি ইনোভেশন হ্যাকাথনের পার্টনার হিসেবে হাইটেক পার্ক থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের কথা বলেন। এটুয়াই প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর তাঁর বক্তব্যে সরকারের প্রায় ২ হাজারের ও অধিক সকল সেবা গুলোকে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে ইনোভেশান প্রক্রিয়ার আবশ্যিকতা তুলে ধরেন।
আয়োজনে সহযোগী সংগঠন বেসিস পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে বাস্তাবায়নে বেসিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়া হবে।
আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হবার ঘোষনা দেয় ফেয়ার টেকনোলজি ও হুন্দাই। ফেয়ার গ্রুপের পক্ষে এই ঘোষণা দেন বিপনন প্রধান জে, এম, তসলিম কবীর। হ্যাকাথনে অংশগ্রহনকারীদের ভবিষ্যতে চাকরির সুযোগ থাকবে বলে আশ্বাস দেন ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা আশা করছি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান এই হ্যাকাথন থেকে পাওয়া যাবে।
আয়োজনের কনভেনর প্রফেসর ডঃ সৈয়দ আখতার হোসেন বলেন, হ্যাকাথনে মেন্টরদের মাধ্যমে উদ্ভাকদের ধারণাগুলোর বাণিজ্যিক সফলতার উপর আমরা বেশি গুরুত্ব দেবো।
হ্যাকাথনের অরগানাইজিং কমিটির চেয়ার প্রফেসর ডঃ তৌহীদ ভুঁইয়া উদ্ভাবনে অগ্রগামী বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখান কার টেকনোলোজি গুলোকে এডাপ্ট করার জন্য এই ইনোভেশন হ্যাকাথন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জুরি ও মেন্টর কমিটির চেয়ার প্রফেসর ডঃ দ্বিপ নন্দি বলেন, উদ্যক্তা তৈরি করতে উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিতেই এই আয়োজন ।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণদের ইনোভেশন হ্যাকাথনে নিবন্ধন করে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন সিটিও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আরফে এলাহী মানিক।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ইভেন্ট কমিটির চেয়ার আশরাফুল হক, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ার মুহাম্মাদ মুসা, কার্য নির্বাহী সদস্য মোঃ আসিফ প্রমুখ।
একটি মন্তব্য
Very much inspirational and effective initiative. There is no alternative except improve technology to lead in the modern era.