শিক্ষার্থীদের আইসিটি ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ মানুষ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। আজ ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আমি বিশ্বাস করি আগামীতে তথ্য-প্রযুক্তি, ক্রিয়েটিভিটি, ক্রিটিক্যাল থিংকিং, প্রবলেম সলভিং, কমিউনিকেশন স্কিল এমনকি নতুন নতুন রোবট তৈরিতে সহায়তা করবে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার জন্য শিক্ষাকে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে বঙ্গবন্ধু পবিত্র সংবিধানে ৭২ এর চৌঠা নভেম্বর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা- এই পাঁচটি মৌলিক অধিকারকে সংরক্ষিত করে রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে তার দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন যে একটি রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি নাগরিককে যদি পাঁচটা মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যায় তবে সেই রাষ্ট্র একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। ৫০ বছর পর জাতিসংঘ এসডিজি লক্ষ্য যারা নির্বাচন করেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর সেই কোর ফিলোসোফিকে অনুসরণ করেন এবং বর্তমানে বিশ্বের ২০০ রাষ্ট্র যে উদ্দেশ্য অর্জন নিয়ে কাজ করছে, বঙ্গবন্ধু ৫০ বছর আগেই পবিত্র সংবিধানে সেই দর্শন রেখে গেছেন। পলক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে গণমুখী এবং অবৈতনিক করার পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক ও সোনার বাংলা গড়ার হাতিয়ার এবং সোনার মানুষ গড়ে তোলার জন্য একটি শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করতে চেয়েছিলেন। তিনি সেই শিক্ষা নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন বিজ্ঞানী ডঃ কুদরাত-এ-খুদা কে, যেন বাংলাদেশের প্রতিটি সোনার সন্তানেরা বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয় এবং তারা যেনো সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান লিয়াকত সিকদার, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক ও ফিতা কেটে রোবোটিক্স, মেকাট্রনিক্স এন্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভ উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়, নাটক ও কৌতুকসহ মনোজ্ঞ পরিবেশনা তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। উৎসবমূখর এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটির বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, এডভাইজর, এইএমসি এডভাইজর, বিভাগীয় প্রধান, কো-অডির্নেটের, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।