ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আলেশা মার্ট যাত্রা শুরুর দিন থেকে গত ছয়মাসে ২১০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। আর পুরো অর্থ ভর্তুকি হিসেবে গেছে শুধু মোটরসাইকেল বিক্রি করতে।
এই সময়ে মোট ভর্তুকির পরিমাণ ৩৪০ কোটি টাকা হলেও অন্য পণ্য বিক্রি করে ১৪০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে আলেশা মার্ট।
রোববার (১৮ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দিয়েছেন আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আলম শিকদার।
তিনি বলেন, গত ছয়মাসে আলেশা মার্টের টার্নওভার ১ হাজার ১শ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দিয়েছি মোটরসাইকেলে। আমরা সরবরাহকারীদের (ভেন্ডর) কাছ থেকে বাকিতে কোনো পণ্য আনি না। অগ্রিম দাম পরিশোধ করে পণ্য এনে গ্রাহককে ডেলিভারি দেই। ভেন্ডরকে অগ্রিম হিসেবে ৩৫০ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছি। আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য নিয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংক আমাদের ওয়েবসাইটে পেমেন্ট সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী সেটাই জানি না। গত ৬ মাসে আমরা সরকারকে ৩৪ কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়েছি। অন্য কয়েকটি ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্মের কারণে আমাদের ব্যবসা ও সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাকালে আলেশা মার্ট ৫০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। ২২ হাজার ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আলেশা মার্টের অনলাইন কমার্শিয়াল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্মের হয়ে কাজ করছে। ক্লিক, রিল্যাক্স, এনজয় স্লোগানে উজ্জীবিত প্রতিষ্ঠানটি কাস্টমারদের জন্য বিশ্বস্ততার পাশাপাশি নিশ্চিত করেছে মানসম্পন্ন পণ্য, দ্রুত ডেলিভারি, আকর্ষণীয় মেম্বারশিপ প্যাকেজ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির সুযোগ।
মঞ্জুরুল আলম শিকদার এসময় আলেশা হোল্ডিংয়ের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক অবস্থান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানবসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে আলেশা হোল্ডিংস।
এসময় আলেশা মার্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।