ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ঘটনায় বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনায় জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা কয়েকবার তার বাড়ির সামনে জড়ো হন।
জানা যায়, আবারও সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কয়েকজন গ্রাহক মাশরাফি বিন মর্তুজার মিরপুরের বাড়ির সামনে জড়ো হন এবং তাদের পাওনা অর্থ আদায়ে মাশরাফির সহযোগিতা চান। এ সময় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন ‘শেষ নিঃশ্বাস অবধি আপনাদের সঙ্গে আছি’।
ই-অরেঞ্জের প্রতারণার দায় নিজের ওপর আসায় ক্ষোভ ঝেড়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমার আসলে দায় কেন? আমি কি মালিক? যারাই আসছেন তাদের তো বলতে পারতাম যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। সেটাও তো আমি বলিনি কাউকে। বলেছি, আমি আমার মতো চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। আমার কাছে এসব বলে লাভ কী? আমি যদি তাদের শেয়ার হোল্ডার হতাম বা এমন কিছু… তাহলে একটা কথা ছিল। আইনের বাইরে গিয়ে মাশরাফি কী করবে? তারা জেলে আছে, তাদের তদন্ত হচ্ছে। সেটা তো এখন পুলিশের বিষয়।’
ইভ্যালির উদাহরণ টেনে মাশরাফি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্পন্সর ইভ্যালি, কেউ কি তাদের কাছে গিয়েছে? আমার কাছে সুবিচার চাইবে, আমি তো মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কেউ না। আমি তো বাড়ি গিয়ে বলে আসিনি এটা করেন। আমি আওয়ামী লীগ করছি, আপনি করবেন? আপনি তো যেটা পছন্দ সেটাই করবেন। পৃথিবীর কোথাও আইনে যদি থাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর দায়ভার নেবে, তাহলে আমিও নিতে রাজি আছি।’
উল্লেখ্য, এক গ্রাহকের করা আত্মসাৎ মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাশুকুর রহমানসহ তিনজন কারাগারে আছেন। এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারসহ দুজন পালিয়ে গেছেন। এছাড়াও গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্দা সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক করে। ভারতে আটক সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
ক্রেডিটঃ ঢাকাপোস্ট