বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নিয়মের কথা জানিয়েছে। বিটিআরসি জানিয়েছে,নতুন নিয়মে একজন গ্রাহকের প্যাকেজ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে যোগ হবে।
বিটিআরসিতে অনুষ্ঠানে ‘মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ নিয়ে এক উপস্থাপনায় এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।
বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটর সূত্র জানিয়েছে, অব্যবহৃত ডেটা নতুন প্যাকেজে যোগ হওয়ার নিয়মটি হলো, অব্যবহৃত ডেটা যোগ করতে হলে গ্রাহককে একই পরিমাণ ডেটার প্যাকেজ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কিনতে হবে। ধরা যাক, একজন গ্রাহক ৭ দিন মেয়াদের ১ গিগাবাইটের কোনো প্যাকেজ কিনলেন, তাহলে এই সাত দিন শেষ হওয়ার আগে তাঁদের আবার ১ গিগাবাইটের প্যাকেজ কিনতে হবে। সেটা ৩, ৭, ১৫ অথবা ৩০ দিন—যেকোনো মেয়াদে হতে পারে।
এত দিন প্যাকেজের হিসাবটি হতো মেয়াদ ধরে। যদি কেউ তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ শেষ হওয়ার আগে আবার তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ কিনতেন, তাহলে অব্যবহৃত ডেটা যোগ হতো।
বিটিআরসি বলছে, মোবাইল অপারেটরদের সর্বোচ্চ তিন ধরনের প্যাকেজ থাকবে। নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ। একটি অপারেটরের নিয়মিত ও গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ মিলিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ৮৫। তবে নিয়মিত অথবা গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ সংখ্যা এককভাবে ৫০টির অধিক হতে পারবে না। মোবাইল ফোন অপারেটরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০টি প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবে।প্যাকেজের ভিন্নতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি প্যাকেজের মধ্যে ন্যূনতম পার্থক্য হবে ১০০ মেগাবিট ডেটা অথবা ১০ মিনিট টকটাইম অথবা উভয়ই।
প্যাকেজের মেয়াদকাল ৩, ৭, ১৫ অথবা ৩০ দিন। মোবাইল অপারেটর কোনো নিয়মিত প্যাকেজ চালু করার পর তা বাজারে অন্তত এক মাস রাখতে হবে। গ্রাহককেন্দ্রিক ও গবেষণামূলক প্যাকেজ রাখতে হবে অন্তত সাত দিন।
বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে গ্রাহকদের আপত্তির পর গত ১২ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও সচিবের উপস্থিতিতে বিটিআরসি এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সভা হয়। পরে আরও বিশ্লেষণের পর ডেটা প্যাকেজ নিয়ে নির্দেশিকাটি তৈরি হয়েছে।