গত সোমবার ডিজিটাল হাট বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি), ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন(বিডিএফএ) এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর পক্ষে জেনারেল সেক্রেটারি জনাব আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন এর পক্ষে সভাপতি জনাব মো ইমরান হোসেন স্বাক্ষর করেন।
অতিমারী করোনার কারণে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত বছরের ন্যায় এবারও অনলাইনে ডিজিটাল কুরবানীর হাট আয়োজন হতে যাচ্ছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ই-কমার্স এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশন এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন এবং এটুআই’র সার্বিক তত্বাবধানে এবারও ডিজিটাল কুরবানীর হাট www.digitalhaat.net মার্কেট প্লেস এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে নিন্মোক্ত বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল হাট এর মাধ্যমে বিক্রিত গবাধি পশু জবাই করার জন্য স্থান নির্ধারণ করণ, ডিজিটাল হাটের বিক্রিত গরু এবং স্লটারিং সার্ভিসের জন্য নির্ধারিত গবাধি পশু সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান, পর্যাপ্ত পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ ইত্যাদির সুবিধা ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক পরিষ্কার পরিছন্ন কর্মী নিযুক্ত করণ, বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরীতে সাহায্য করা, গবাদি পশুগলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান ও স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য পশু চিকিৎসক নিযুক্ত করবেন।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত জায়গায় ও অনুমোদিত ম্যাপ অনুসারে কসাইখানার সকল ধরনের অবকাঠামো করা, কসাইখানার নিরাপত্তা প্রদানের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী প্রদান, কসাইখানার জন্য পর্যাপ্ত পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত বাথরুম, লাইট, ফ্যান, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদির সুবিধা ও অবকাঠামো তৈরী, কসাইখানা পরিচালনার জন্য উক্ত এলাকার এখতিয়াধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহিত পরামর্শক্রমে তাদের নিজ উদ্দোগে সহযোগিতা গ্রহন , বিডিএফএ নিয়োজিত কর্মীগণ সঠিকভাবে গবাদি পশুর পরিমাপ করবেন ও উক্ত গবাদি পশুর সংরক্ষণ, পর্যাপ্ত খাবার দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা, বিক্রিত গবাদি পশু গুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কসাইয়ের মাধ্যমে জবাই ও অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করে সঠিকভাবে প্যাকেজিং করে ক্রেতার নিকট নিয়োজিত পরিবহন পার্টনারদের মাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা, কসাই টিম গঠন /কসাইখানা শেড তৈরি ও তাদের মাধ্যমে বিক্রিত সকল গরুর জবাই, সঠিকভাবে ছিলানো এবং মাংস কাটা নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করার ব্যবস্থা করা, গবাদি পশু জবাই করার জন্য এলাকার বিভিন্ন হুজুর, মসজিদের ঈমাম/মোয়াজ্জিন নিয়োজিত করবেন ও গরু জবাই করার পর ক্রেতাদের নিকট পৌছানোর আগে উন্নত প্যাকেজিং করার দায়িত্বরত থাকবেন।
ই-কমার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) কর্তৃপক্ষ কুরবানী ঈদের গবাদি পশু গরু/ছাগল সরাসরি প্রান্তিক খামারী/খামার হতে গ্রাহক পর্যায়ে অনলাইনে বিক্রয় সাধনের নিমিত্তে একটি অনলাইন প্লাটফরম (ওয়েবসাইট) তৈরী করবে যেখানে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সকল গবাদি পশু গরু/ছাগলের ছবি ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করবে, এই বিক্রয় কর্মসূচীর সকল প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করবে এবং বিক্রিত গবাদি পশুগুলো নিজস্ব পদ্ধতিতে কিউ আর কোড/ ট্যাগের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা, একটি কাষ্টমার কেয়ার গঠন করা, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারণা করা, ডিজিটাল হাটে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ও তার পার্টনারদের মাধ্যমে সরবরাহকৃত গবাদি পশুর তথ্য সংবলিত ছবি, ওজন ও স্থান নির্ধারণ করে তাদের নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও হাটে উক্ত গবাদি পশুর সংরক্ষণ করা, অনলাইন প্লাটফর্ম digitalhaat.net এর মাধ্যমে গবাদি পশু গরু/ছাগল বিক্রয় ক্যাম্পেইন এর অনাড়ম্বর উদ্বোধন ও প্রচার ও প্রসারণার জন্য সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবে।
ই-ক্যাব সভাপতি ডিজিটাল হাট বিষয়ে ই-ক্যাব এর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন, ই-ক্যাব জেনারেল সেক্রেটারী জনাব আব্দুল ওয়াহেদ তমাল মেয়র মহোদয়কে গত বছরের তুলনায় কেন এবারের অনলাইন ডিজিটাল হাট অনন্য সেই বিষয়ে ধারণা দেন। তিনি আরো বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের আয়োজনে থাকছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ক্রেতা এবং বিক্রেতার আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রথমবারের মতো পাইলট প্রজেক্ট ESCROW সার্ভিস। এটু্আই কর্তৃক দেশব্যাপী প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমেও ডিজিটাল হাট বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া ই-ক্যাব রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জনাব সদরুদ্দিন ইমরান ডিজিটাল হাট এর বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয় আলোচনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম, মাননীয় মেয়র, ডিএনসিসি, জনাব মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিএনসিসি, জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব), ডিএনসিসি, জনাব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, সচিব (উপসচিব), ডিএনসিসি, ব্রিগেঃ জেনাঃ মোঃ জোবায়দুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডিএনসিসি, শমী কায়সার, সভাপতি, ই-ক্যাব, জনাব আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, জেনারেল সেক্রেটারি, ই-ক্যাব, জনাব মো ইমরান হোসেন, সভাপতি, বিডিএফএ, জনাব নাজিব উল্লাহ, যুগ্ন-সম্পাদক, বিডিএফএ, জনাব সদরুদ্দিন ইমরান, চেয়ারম্যান, ই-ক্যাব রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটি, জনাব মোঃ মাহমুদ রহমান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, ই-ক্যাব, জনাব মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, ফিউচার স্কাই লিমিটেড।