বিটিআরসি ও র্যাবের যৌথ অভিযানে রাজধানীর ফকিরাপুল গরম পানির গলি এলাকার প্রিন্টিং প্রেস এঅভিযান পরিচালনা করে কলিংকার্ডসহ অবৈধ ডিওআইপি ব্যবসা চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ (সংশোধনী ২০১০) এর ৩৫/৭৩/৭৪ ধারা এর পলাতক আসামী এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সাথে জড়িতদের আন্তর্জাতিক কলিং কার্ডসহ গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের নাম ১। মোহাম্মদ আমির হামজা (৩৩) ২। আলমগীর হোসেন (৪৫) ৩। শামীম মিয়া (২৯) ও ৪। সাগর মিয়া (২৭) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ০২টি সিপিইউ, ০২ টি মনিটর, ০১টি মাউস, ০১ টি কিবোর্ড, ০২ টি প্রিন্টার, ০২টি স্ক্যানার, ০১টি পেপার কাটার মেশিন, ০১টি ডিজিটাল ওজন মেশিন ও ০৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত এই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। প্রাথমিকভাবে জানা যায় উক্ত প্রিন্টিং প্রেস এ যে বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক কলিং কার্ড পাওয়া গেছে তা যদি ব্যবহার হতো তাহলে বাংলাদেশ সরকার আনুমানিক ১৯ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো।
অসাধু ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা প্রচলিত সফটওয়্যার ভিত্তিক সুইচ এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করতো এবং উক্ত স্থাপনা পরিচালনা করার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রদেয় রাজস্ব/চার্জ ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যান্ত্রিক ভার্চুয়াল সফটওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করত।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ডায়ালার কলসমূহ বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে আউট করত এবং উক্ত অ্যাপে রিচার্জ এর জন্য বিভিন্ন অংকের কলিং কার্ড বিক্রি করতো। এছাড়া তারা অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক রিচার্জ সেবা প্রদান করত এবং হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে আসছিলো বলে জানা যায়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মানহয় যে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘ ৭/৮ বছর সরকারকে প্রদেয় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি এবং আন্তর্জাতিক প্রেমেন্ট ও রিচার্জের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। উক্ত প্রিন্টিং প্রেস এ পাকিস্তান পাকিস্তান ভয়েস, কাতার এক্সপ্রেস, এশিয়ান টেলিকম,এনএস এক্সপ্রেস, প্রবাসী কার্ড, স্বপন টেল, সুপার কার্ড, কাতার টুসহ মোট ১০৭ প্রকারের/ধরনের ১,৫০,০০০ প্রিন্টেড কার্ড পাওয়া গিয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।