বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের মাঝে বর্তমানে মেহেদী হাসান একটি সম্ভাবনাময় নাম। তিনি ডেইলি নাটস নামক একটি ফুড সার্ভিস ব্যবসার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। তার পাশাপাশি বর্তমান তরুণ উদ্যোক্তাদের বিজনেস কন্সাল্টেট হিসেবেও ভুমিকা কম নয় তার কিছু।
উদ্যোক্তা হবার মনোভাব পোষণ করেন যখন থেকে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনাটা শুরু হয় তার।একটা তৈরি করা জায়গা বা পজিসনে নিজেকে নতুন করে তুলে ধরার আসলে কিছু নেই। আপনি ঠিক কতটা পারেন তার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এই পারাটার মাঝে থাকে একটা সীমাবদ্ধতা। আর সেটা হল কাজ টা অন্যের হয়ে করে দেয়া এবং নিজের মতবাদ প্রকাশের ক্ষীন সুযোগ থাকা। এই ভাবনাটা থেকেই মুলত তিনি প্রথম সিদ্ধান্ত নিলেন নিজে কিছু করার। বা নিজেকে কিছু করতে হবে। তিনি অন্যের অধীনে সর্বপরি কাজ করে নিজের নিজস্বতাটাকে নষ্ট করতে চান নি। তার মতে নিজ উদ্যোগে কিছু করতে পারলে, এই পারাটার সাথে সাথেই নিজেও শিখতে পারবেন , অন্যদেরও শেখাতে পারবেন এবং নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে ভুমিকাও রাখতে পারবেন দেশের কল্যানে।
ডেইলি নাটস নামটা শুনলেই বুঝতে পারছি এটি একটি শুকনো খাবার এর ব্যবসা। এই ব্যবসাটা শুরুর উদ্দ্যেশ্যে ছিল মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা। খুব সহজেই হাতের নাগালে যদি এই সানিধ্যের মধ্যে থাকা একটি হেলদি ফুড থাকে তা আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার জন্য কল্যাণকর বটে। অল্প পরিসরে কিভাবে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার সবার কাছে পৌছে দেয়া সম্ভব এটাই ছিল ডেইলি নাটস এর মুল লক্ষ্য। এই প্রতিষ্ঠানের আর এক সহযোগী মাহমুদুল হাসান ফয়সাল বেশ কিছু চীনে ছিলেন। সেখানে ড্রাই খাবার এর অভ্যাস দেখে সকলের তিনি দেশে ফিরে ভাবলেন এমনটা এ দেশেও তো সম্ভব। তখন তিনি এবং মেহেদী হাসান তাদের এই ভাবনা থেকে যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তাদের উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে ডেইলি নাটস ব্রান্ডটা যেন সকলের মুখে মুখে থাকে তার প্রসার ঘটানো। মানুষ তার নিত্যদিনের চাহিদায় ড্রাই ফ্রুটস এর মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুক এবং সীমিত সাধ্যের মাঝে যে কোনো শ্রেণীর মানুষ যেন তা গ্রহণ করতে পারে তার সর্বাজ্ঞিক ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা সাথে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান ডেইলি নাটস কে।
উদ্যোক্তা হতে গেলে বাধার সম্মুখীন হতে হবে এমন ধারণা উদ্ভাবনের শুরু থেকেই মনে রাখতে হবে। কেননা আমাদের পরিসর ছোট যার দরুন বাধাও অনেক। সেটা পারিবারিক থেকে শুরু করে, ব্যবসায়ীক সব দিক থেকেই আসতে পারে। তাই বাধা আসবে এটাকে মেনে ব্যবসা করার সিধান্ত নিতে পারলেই সফলতার পথটাও প্রশস্ত হবে বলে মনে করেন মেহেদী হাসান।
কাজের কোনো পরিসমাপ্তি যেমন নেই তেমনি কাজের ধারা কে নতুনত্ব দেবার ক্ষেত্রেও কোনো বিলম্ব নেই। ঢাকায় বেড়ে ওঠা। শহরের সন্নিকটে থেকেই নিজেকে তরুণ প্রজন্মের একজন উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন মেহেদী হাসান নিজেকে। তার এই প্রসার তার নিজের জন্য যতটা আশানুরূপ ই-ক্লাবের সাথে তার পথ চলাও ততটাই দাবি রাখে।