তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে জীবনমুখী শিক্ষার বেশি প্রয়োজন। জীবনমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ২০১৬ সালে ইনোভেশন ডিজাইন অন্টারপ্রেনিয়ারশীপ একাডেমির (আইডিয়া) কার্যক্রম শুরু হয়। এই একাডেমি থেকে সফট স্কিল প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন স্বল্পশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) কর্তৃক আয়োজিত “অল অ্যাবাউট সফট্স্কীল ট্রেনিং সিরিজ গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি ২০২২” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
উই এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আলতাফ হোসাইন, উই গ্লোবাল এডভাইজার সৌম্য বসু।
প্রতিমন্ত্রী ‘উই’-কে বাংলাদেশের অনন্য মডেল উল্লেখ করে বলেন, নারী উদ্যোক্তারা এ ধরনের ‘উদ্ভাবন দিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। সাশ্রয়ী, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে নারী উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আগামী ৮ আগস্ট উই এর ৩০০ নারীকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হবে।
৩টি মন্তব্য
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্যার বরাবরই উইয়ের জন্য অনেক সাপোর্ট করে আসছেন। বিশেষ ভাবে উইয়ের উদ্যোক্তাদের জন্য অফেরত যোগ্য অনুদানের ৫০,০০০ টাকা দিয়ে উদ্যোক্তাদের উদ্যোগটাকে ওয়েব সাইট তৈরি করার জন্য যে, সুযোগ করে দিলেন সেটা সত্যি প্রশংসনীয়। আগামীতেও আমাদের পাশে থেকে সাপোর্ট করে যাবেন আমরা সেটা আশা করি।
অনেক ভালো উদ্যোগ
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা পলক স্যার,সৌম্য বসু দাদা,নিশা আপুকে যারা আমাদেরকে এমন একটা ট্রেনিং এর আয়োজন করে দিয়েছেন।শিক্ষাকে যদি জীবনে কাজে লাগাতে না পারি তবে সে শিক্ষার কোন মূল্য থাকে না। তাই আপ্রাণ চেষ্টা করছি নিজেকে স্বনির্ভর করার।সরকারী সহযোগীতা পেলে এগিয়ে যাওয়া সহজ হতো।কারণ আমরা নারীদের সবদিকে প্রকিবন্ধকতা রয়েছে।সরকারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।