দূরবিন.কম বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি বুক স্টোর।যেখানে নানা ধরনের বই পাওয়া খুব সহজেই। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের অনলাইন প্লাটফর্মে ভালো জায়গা করে নিয়েছে। আর এই দূরবিন.কম এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন তরুন উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান সুমন।তিনি ই-ক্লাবের একজন জেনারেল মেম্বার হিসেবেও যুক্ত আছেন। তার এই গতানুগতিক মৌলিক ধারার বাইরে যেয়ে বই নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করাটা প্রশংসনীয় বলা যায়।
পুথিগত বিদ্যার বাইরের জ্ঞান অর্জনে আগ্রহ ছিল কামরুজ্জামান সুমনের বেশি। তিনি তার জীবনে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে এ যাবত পর্যন্ত পরেছেন ১৯৫ টি বই। তার জীবনের প্রথম পড়া বই ছিল ডা.লুতফুর রহমান এর লেখা মহৎ জীবন। এই বইটি বলা যায়, তার বই এর প্রতি আগ্রহের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়। সে সময় অনেকটা তিনি নিজ মনেই নিজের পাঠাগারের একটি লোগো একেছিলেন বই এর পাতায়। আজ তার এই ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ ছড়িয়ে পরেছে সকল তরুণদের মাঝে তার দূরবিন.কম এর হাত ধরে। ২০১৭ সালে বই নিয়ে কিছু করার ইচ্ছে থাকলেও পরিনতি দিতে সময় লেগে যায় প্রায় ১ বছর। বই এর প্রতি তার ভালো লাগাটাই মুলত তাকে বই নিয়ে ভাবতে শিখিয়েছে। এই প্রতিযোগিতা মুলক সময়ে, বই পড়ার প্রবনতা খানিকটা কমে গেছে বলা চলে, হাতের কাছেই প্রযুক্তির নাগাল সেখানে হাতে ধরে জানার আগ্রহ প্রায় ক্ষীণ। সেখান তিনি এই বইকে জ্ঞানের বাহক হিসেবে ছড়িয়ে দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
কামরুজ্জামান সুমন মনে করেন পৃথিবীতে আধুনিকতা যেমন প্রয়োজন সেই সাথে প্রয়োজন পুরোনোকে কদর করার মনোভাবও। বর্তমানে তরুণ দের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস কমে গিয়েছে অনেকটা। তারা অনলাইন ভিত্তিক কাঠামোতে বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু এটি কি আদৌ কার্যকর? এক্ষেত্রে কামরুজ্জামান সুমনের তরুণদের উদ্দেশ্যে মতামত, হাতে নিয়ে পড়া জ্ঞান এর স্থায়ীত্ব শুধু বইতেই সীমাবদ্ধ কিন্তু বই এর বাইরে প্রযুক্তির থেকে জ্ঞান আহরনের ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা শুধু জ্ঞান অর্জনেই নয় বরং আনুসাঙ্গিক আরও সোশ্যাল মিডিয়া সহ নানা বিষয়ে একসাথে, একই সময়ে মনোযোগ দিচ্ছি। এতে করে আমাদের জ্ঞানের ক্ষেত্রটা অতটা প্রশস্ত জায়গা পায়না। আমরা তরুণরা জানাছি অনেক কিছু কিন্তু ধারণ করছি কম। তাই তার মতে প্রযুক্তির পাশাপাশি বই এর সাথেও জ্ঞান চর্চার আগ্রহ রাখতে হবে। এছাড়া বই মন এবং মানসিকতা দুটো ক্ষেত্রেই সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে সাহায্য করতে সহায়ক। যা পরবর্তী প্রজন্মকে নতুনত্বের দিকে ধাবিত করে খুব সহজেই।
বই মানেই শুধু জ্ঞান অর্জন নয়,বই মানে নিজেকে অন্যর লেখনির মাঝে জানতে চাওয়া, নিজেকে সময় দেয়া। বই আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে ভূমিকা রাখে সবসময়। কামরুজ্জামান যেন এই কথার গাথুনি হিসেবে দুরবিন.কম কে তুলে ধরেছেন আমাদের কাছে।প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করা বৃথা। ক্ষেত্র যেটাই হোক কাজের পরিদর্শন যদি দৃষ্টিনন্দন হয় তবে তা নিজেই যায়গা করে নেবে নিজ অবস্থানে। পরামর্শ দিতে নয় বরং কাজের মাঝেই এমন উদাহরণ রাখত হবে যা পরামর্শ এর বাস্তবিক রুপ হিসেবে ছড়িয়ে পড়বে সর্বস্তরে।কামরুজ্জামানের এই মানসিকতাই তাকে সামনে এগোতে সাহায্য করেছে এবং করছে সবসময়।