গতকাল শনিবার (১৪ মে) শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কার্নিভাল হলে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে “সুনীল অর্থনীতি: জাতীয় অগ্রগতিতে এক প্রাতিষ্ঠানিকরণ এর সম্ভাবনা” বিষয়ে এক গোলটেবিল পলিসি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এমএইউ) রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশীদ আলম, বিএন।
সংলাপে সুনীল অর্থনীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে আটটি প্রধান থিমেটিক এরিয়ার (১. মেরিন ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার ২. মেরিন শক্তি ৩. মেরিন বায়োটেকনোলজি এবং থেরাপিউটিকস ৪. মেরিন পর্যটন ৫. জাহাজ ও বন্দর ব্যবস্থাপনা ৬. সমুদ্র শাসন এবং ব্যবস্থাপনা ৭. মেরিন ফাইন্যান্স ৮. স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফি এন্ড আইসিটি) উপর ভিত্তি করে ২০টিরওও অধিক গবেষণা সেক্টরে (যেমন- মেরিন ফিশারিজ, টুনা ফিশারিজ মেরিকালচার, সি-উইড চাষ, মুক্তা চাষ, নবায়নযোগ্য শক্তি, অ-নবায়নযোগ্য শক্তি, এনার্জি মিক্স, জাহাজ পরিবহন, জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, গভীর সমুদ্রবন্দর, মেরিন স্পেশিয়াল প্ল্যানিং ইত্যাদি) ভাগ করা হয়। বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এসব সেক্টরের বর্তমান ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা বিশদ আলোচনা করেন। আলোচনার মাধ্যমে ২০টি গবেষণার বিষয় চিহ্নিত করে করা হয়, যেগুলো বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
জুয়েনা আজিজ বলেন, ব্লু ইকনমির ফলে দোশের জিডিপি ৩% বাড়বে। এতে করে আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে আরও অগ্রসব হব।
ড.আহমেদ কায়কাউস বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনীতি নিয়ে অনেক দুর এগিয়ে গিয়েছে। অনেক সমস্যা থাকলেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। করণা পরবর্তী সময়ে আমরা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নানান পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।