ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ আয়োজন করল ‘নগদ টাইকুনস মিট’ বা ডিস্ট্রিবিউটর্স মিট ২০২২। ‘দ্য উইনার অব
চেঞ্জ’ স্লোগানে এই আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ করেন সারা দেশ থেকে ‘নগদ’-এর ডিস্ট্রিবিউটর্স, রিজিওনাল ম্যানেজার ও মার্কেট ডিরেক্টর্সগন।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘নগদ’ আয়োজন করে এই ‘টাইকুনস মিট ২০২২’। সারাদিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১৬৪ জন ডিস্ট্রিবিউটর্স, রিজিওনাল ম্যানেজার, মার্কেট ডিরেক্টর্সদের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন ‘নগদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর এ মিশুক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাহেল আহমেদ, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালকগণসহ ‘নগদ’-এর বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সকাল থেকে শুরু হওয়া ‘নগদ টাইকুনস মিট ২০২২’ আয়োজনটি চলে রাত পর্যন্ত। যেখানে বিভিন্ন রকম কর্মশালার পাশাপাশি টার্গেট বা পারফরমেন্সের ওপর কৃতিত্ব স্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয় বিভিন্ন এরিয়ার ডিস্ট্রিবিউটর্স, রিজিওনাল ম্যানেজার ও মার্কেট ডিরেক্টর্সদের। আয়োজনে ডিস্ট্রিবিউটর্সদের সেরা পারফরমেন্সের জন্য ‘নগদ’ কর্তৃক ছিল ক্রেস্ট ও মূল্যবান উপহার সামগ্রী। এ ছাড়া ‘নগদ টাইকুনস মিট ২০২২’-কে আরও মনোমুগদ্ধকর করে তুলতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ‘নগদ’।
‘নগদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর এ মিশুক ডিস্ট্রিবিউটর্স,
রিজিওনাল ম্যানেজার ও মার্কেট ডিরেক্টর্সদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “নগদ এর শুরু থেকে এই পর্যন্ত পথচলায় বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল এমএফএস, ৬ কোটির মতো গ্রাহক
কিংবা প্রতিদিন প্রায় ১০০০ কোটি টাকা লেনদেনের সবই সম্ভব হয়েছে কেবল
আপনাদের সহযোগিতা ও পার্টনারশিপের কারণে।” তিনি বলেন, “নগদ চালু করার
পরিকল্পনা যখন করি, সেই সময় অনেকেই আমাকে নিরুৎসাহিত করেছে। মূলত
একচেটিয়া আধিপত্য ও এমএফএস মার্কেট নিয়ে নেতিবাচক ডাটা তার অন্যতম কারণ।
কিন্তু সেই সময়, সবার আগে যারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন, তারা হচ্ছেন আপনারা।
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আপনারা না থাকলে হয়তো আজকে এই সফলতা দেখতাম
না।”
‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাহেল আহমেদ বলেন, “দেশে আর্থিক
অন্তর্ভুক্তিতে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে ছিলাম। দেশের সাধারণ মানুষকে এই আর্থিক
অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে প্রয়োজন ছিল যথাযথ ডিজিটাল ইনোভেশন। আর সে
সময় উল্কার মতো একটা চ্যালেঞ্জ আসল, সেটি হলো ‘নগদ’। এবং সেই ‘নগদ’ পরিবারের আপনারাই যারা এর চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। সেবাটিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন পুরো বাংলাদেশে। এ ছাড়া ‘নগদ’ এর ই-কেওয়াইসি, ডি-কেওয়াইসি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ আপনাদের মাধ্যমেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে আসতে সক্ষম হয়েছে।”