বাংলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হলো ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস
‘নগদ’। এখন থেকে বইপ্রেমীরা বাংলা একাডেমি থেকে বই ক্রয়সহ একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা তাদের বার্ষিক ফি পরিশোধ করতে পারবেন ‘নগদ’-এ। আজ বুধবার দুপুরে বাংলা একাডেমির ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনে বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও ‘নগদ’ লিমিটেড-এর মাঝে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমির বিক্রয় ও বিপণন উপবিভাগের বিল পরিশোধ করা যাবে ‘নগদ’-এ। সারা দেশ থেকে আগত পাঠক ও প্রকাশকেরা বাংলা একাডেমি থেকে ক্রয়কৃত সকল বইয়ের মূল্য সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন তাদের ‘নগদ’ ওয়ালেট দিয়ে।
চুক্তির বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশ যখন ইন্টারনেটকে যোগাযোগ ও বিনিময়ের প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে, তখন নগদ ও বাংলা একাডেমির মাঝে এই চুক্তিটি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের কাছে বই পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে।
এ ছাড়া বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের পাঁচ হাজার সদস্যের বার্ষিক ফি সংগ্রহসহ অন্যান্য আর্থিক সেবাও পরিশোধ করা যাবে এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে। ফলশ্রুতিতে সারা দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষসহ এমন প্রায় পাঁচ হাজার নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা ঘরে বসেই তাঁদের বার্ষিক ফি পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি, বাংলা একাডেমি ও ‘নগদ’-এর মধ্যকার এই চুক্তির ফলে অমর একুশে বইমেলায়ও মিলবে এই পেমেন্ট সুবিধা। যেখানে পাঠকেরা বাংলা একাডেমির স্টল থেকে বই কিনে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে।
বাংলা একাডেমির সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার জন্য বাংলা একাডেমি একটি অনন্য সাধারণ প্রতিষ্ঠান। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা কাজ করতে পেরে আনন্দিত।