“আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই ৪ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যেই এই সংখ্যা ২৫ হাজারের উন্নীত হবে। এখন আমাদের ১১ টি হাইটেক পার্ক রয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৯২ টি হাইটেক পার্ক তৈরি হবে। জেলায় কমপক্ষে একটি করে ট্রেনিং এবং ইনক্রিমেন্ট সেন্টার তৈরি করা হবে।” সোমবার
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন এর তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, সনি, মারুবিনি’র মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো হাইটেক পার্কে তাদের কারখানা করতে যাচ্ছে এবং দক্ষ জনশক্তি খুঁজছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই মাইক্রোসফট, গুগল’র মতো সিইও হবে বাংলাদেশের মাটি থেকেই।
সোমবার দুপুরে এই হ্যাকাথনের উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো: সাজ্জাদ হোসেন, ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জহিরুল হক, ফেয়ার গ্রুপের সিইও মোতাসিম দেওয়ান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আয়োজক প্রাতিষ্ঠান সিটিও ফোরাম এর সভাপতি তপন কান্তি সরকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের অংশ হিসেবেই এই আয়োজন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এতে অংশগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে। সেদিন থেকেই শুরু হবে আইডিয়া রাউন্ড। ২৭ অক্টোবর ডেমো রাউন্ড শেষে। ১৫ নভেম্বর হবে চূড়ান্ত পর্ব। এবার তারা জাতীয় প্রয়োজনে ২১টি ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে আনবে।
উল্লেখ্য, ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২ এর টাইটেল স্পন্সর ফেয়ার টেকনোলজি ও হুন্দাই বাংলাদেশ ব্র্যান্ড। হ্যাকাথনে সহযোগী হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের দুইটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি ও এস্প্যায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং বেসিস। এই আয়োজনে “ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলোজি, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশান” সহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই হ্যাকাথন থেকে সেরা উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা হবে।