ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, গ্রামেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়া হবে। এজন্য ইউনিয়ন পর্যায়ের ডাকঘরগুলোকে প্রযুক্তি নির্ভর সেবা দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করার পাশাপাশি গ্রামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিটিসিএল এর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে । সে লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ি বা ধর্মপাশার মতো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় অবস্থিত দরগ্রামে অবস্থিত দেশের প্রথম ডিজিটাল পল্লীতেও বিটিসিএল এর ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। মন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় অবস্থিত দরগ্রাম ডিজিটাল পল্লী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তির শক্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছে। আমাদের এই যাত্রার লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। সেই যাত্রায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না। উচ্চগতির ইন্টারনেটের মহাসড়ক ধরেই গ্রামের তাঁতি, কুমার, কৃষক সবাই ই-কমার্স এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে। সে জন্য আমরা আমাদের ডাকসেবাকে ডিজিটালে রূপান্তর করছি। সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১৩ কিলোমিটার ক্যাবল টেনে হলেও এখানে ব্রডব্যান্ড সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁতিদের শৈল্পিক স্বত্ত্বার বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ই-কমার্স ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সেবা সর্বত্র পৌঁছে দেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার মাটি ও সোনার মানুষকে সম্পদে রূপান্তর করে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করবো। এখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
এসময় ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বিজয় ডিজিটাল লিমিটেডের সিইও জেসমিন জুই, ডিজিটাল পল্লী প্রকল্পের পরামর্শক ইব্রাহিম খলিল এবং উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যেমন একদিন অবিশ্বাস্য ছিল তা আজ বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। তেমনি বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম একদিন ডিজিটাল পল্লী হবে এবং ঘরে ঘরে গড়ে উঠব ডিজিটাল উদ্যোক্তা।
একটি মন্তব্য
Amar digital post office na na