বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২২ সালের কার্যক্রম ও আর্থিক বিবরণী পেশ করার পাশাপাশি আগামী বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকারের সভাপতিত্বে সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহসভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূইয়া, মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হেলালী, পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং মোশারফ হোসেন সুমনসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওয়ারেন্টি নীতিমালা বাস্তবায়ন, এমআরপি নীতিমালার উপর গুরুত্ব প্রদান এবং ফোরআইআর প্রযুক্তির ব্যবহার দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগকে গুরুত্ব দেন নেতারা
সভার শুরুতেই বিসিএস সভাপতি বিসিএস এর যেসকল সদস্য গত বছর মৃত্যুবরণ করেন তাদের জন্য শোকপ্রস্তাব পেশ করেন। শোকপ্রস্তাব শেষে সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য দোয়া ও বিসিএস সদস্যদের সার্বিক উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিসিএস কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হেলালী। ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সভায় উপস্থাপন করেন বিসিএস সভাপতি। সভাপতির সম্মতিক্রমে মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া ২০২২ সালের কর্মকান্ডের বিবরণী এবং কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হেলালী ২০২১-২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন। ২০২২ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেটের উপর সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাদের মতামত প্রদান করেন। সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও মতামতের আলোকে ২০২২ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেট অনুমোদিত হয়।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার বলেন, বিসিএস বরাবরের মতো সদস্যবান্ধব সংগঠন। প্রযুক্তিপণ্য ব্যবসার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, এলসি প্রক্রিয়াকরণে ব্যাংকের বাধ্যবাধকতাসহ বর্তমানে আইসিটি ব্যবসায়ীরা কঠিন সময় পার করছে। আমরা সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে এই পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের নির্দেশনায় সমিতির ভবিষ্যত পরিকল্পনাতে আমরা রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(এআই), ইন্টারনেট অব থিংকস (আইওটি) এবং ব্লকচেইন প্রশিক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। প্রয়োজনে বিদেশ থেকেও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক এনে সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ওয়ারেন্টি নীতিমালা জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেছি। এমআরপি নীতিমালা নিয়েও কার্যক্রম চলমান। ১৯৮৭ সালে শুরু হওয়া সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা দুই হাজার পাঁচশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশের সকল আইটি ব্যবসায়ীকে এই সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাঙ্গাইল আর রংপুরে আমাদের নতুন দুইটি শাখা যাত্রা শুরু করেছে। বর্তমানে ১০টি শাখা নিয়ে দেশব্যাপী প্রযুক্তি শিল্পকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরাই দেশের একমাত্র এবং সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান। বিসিএস সদস্যদের নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে ব্যবসায় নতুনত্ব নিয়ে আসতে বিসিএস এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সদস্যদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিতে কার্যকরী কমিটি বদ্ধ পরিকর।