আগামী ১৯ মে তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) পণ্য মেলা। যার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব তথ্য জানান।
আগামী ১৯-২৫ মে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশন এই মেলার আয়োজন করছে। যা শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন। মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯ মে সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী ৭ জন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দেশীয় শুধু দেশীয় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ থাকবে। বিদেশি বা আমদানিকরা কোনো পণ্য মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলন শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের মেলায় অংশ নেবে সাড়ে তিন শরও বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী-উদ্যোক্তা।
মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট থাকবে। মেলায় এসএমই ঋণ বিতরণকারী প্রায় ২৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে, যাদের কাছ থেকে উদ্যোক্তারা এসএমই ঋণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য স্পষ্টীকরণসহ ব্যাংকারদের সাথে সরাসরি আলোচনা ও পরামর্শ করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক-উদ্যোক্তা একমত হলে- উদ্যোক্তারা ঋণের জন্য মেলাতেই আবেদন করতে পারবেন এবং সম্ভব হলে, ঋণ প্রাপ্তির বিষয়েও ধারণা অর্জন করতে পারবেন।’
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘মেলায় ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরো প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান। মেলায় অংশ নিচ্ছে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ২৩টি, খাদপণ্যের ১৪টি, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল বা ভেষজ শিল্পের ৫টি, জুয়েলারি শিল্পের ৫টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৪টি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৩টি, ফার্নিচার খাতের ৩টি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়। মেলায় সন্ধানীর সহযোগিতায় একটি রক্তদান কেন্দ্র থাকবে। যে কোন ব্যক্তি এখানে রক্তদান করতে পারবেন। একই সঙ্গে মরনোত্তর চক্ষু দানের ব্যবস্থাও থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অ. দা.) সালাহউদ্দিন মাহমুদ এবং পরিচালক ও মেলা সংক্রান্ত ওয়ার্কিং কমিটির আহবায়ক মো. রাশেদুল করীম মুন্না প্রমুখ।