জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্থাপিত “মুজিব কর্ণার” এর উদ্বোধন করা হয়েছে আজ। এছাড়াও হোটেলের সীমানা প্রাচীরের দেয়াল সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় সংগ্রামী জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের নানান ছবি দিয়ে।
আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মুজিব কর্নার ও ওয়াল ব্র্যান্ডিং (দেওয়াল চিত্র) উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি। অনুষ্ঠানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনার সাথে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের নাম জড়িয়ে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির প্রশ্নে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছেন। এই কারণে হোটেলটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা খাদ্যে, বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি ও তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এমডিজিতে সাফল্য পেয়েছি। আগামীতে এসডিজিতেও ভালো করবো।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের কার্যক্রমের কারণে বিদেশী পর্যটকেরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে পারবে জানিয়ে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি অতিথি যারা এই হোটেলে আসে, তাদের অনেক কৌতূহল থাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিব কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, মুজিব কর্ণারের কারণে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকেরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ও মুক্তিযুদ্ধে তার ঐতিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারবে।’
পরে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে হোটেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রক্তদান কর্মসূচিও পরিদর্শন করেন।