নেভার লেট গো অব ইউর নিডস’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিজনেস টু কাস্টমার (বিটুবি) মডেল নিয়ে দেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে নতুন ই-কমার্স সাইট ‘লেট’স গো মার্ট’। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম ‘লেট’স গো মার্ট’ -এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ সশয় উপস্থিত ছিলেন, ‘লেট’স গো মার্ট’-এর চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো রবিউল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, পরিচালক ও প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফ-উস-সালেহীনসহ প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও প্রধান পরিচালনা কর্মকতা (সিওও) সৈয়দ আশরাফ-উস-সালেহীন বলেন, দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমকে সাথে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের এই ই-কমার্স সাইটটি চলবে জিরো ওয়্যার হাউজ ও জিরো এ্যাডভান্স সিস্টেমে। যেখানে কোন ধরণের পণ্য মজুদ করা হবে না। গ্রাহক অর্ডার করলেই অর্ডারের পণ্য গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতার দুই পক্ষের ক্ষেত্রে ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম রেখেছি। যেখানে ‘লেট’স গো মার্ট’ মার্চেন্ট ও কর্পোরেট থেকে নগদ টাকায় পণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দিব।
তিনি বলেন, দেশ ও দেশের বাইরের জন্য ই-কমার্স প্লাটফর্ম হচ্ছে একটি অপার সম্ভাবনাময় মাধ্যম, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা কোন ঝামেলা ছাড়াই সকল ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী তাদের ভূল ব্যসায়িক পরিকল্পনার জন্য মানুষ ই-কমার্সের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। আমরা ই-কমার্সের প্রতি গ্রাহকের যে বিশ্বাস ছিলো তা ফিরিয়ে আনার জন্য বদ্ধপরিকর। এজন্যই আমরা আমাদের বিজনেস মডেলটি ক্যাশ অন ডেলিভারি ও জিরো ওয়্যার হাউজ ও জিরো এ্যাডভান্স সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছি।
‘লেট’স গো মার্ট’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, দেশের ই-কমার্স সাইটে নতুন মাত্রা নিয়ে আসা ‘লেট’স গো মার্ট’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেশের মানুষের মাঝে ই-কমার্স নিয়ে যে বিরুপ ধারণা চলে আসছে সেই ধারণা পাল্টে দিতেই নতুন মাত্রা নিয়ে আসতে যাচ্ছে ‘লেট’স গো মার্ট’ । প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেবা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়েই আমি প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত হয়েছি।
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৭ প্রতিযোগিতায় প্রথম-স্থান লাভ করেন মিম। একই বছর তিনি ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এর পরে ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য দর্শক ও সমালোচক উভয়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন।