৫ই জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে রায় দেন মহামান্য হাইকোর্ট। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় কোটা বিরোধীদের প্রতিবাদ। জানা যায় কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়ে কটূক্তি ও ট্রল। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার বর্গও। এসবের ব্যবস্থা নিতে তারা সাইবার আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন।
অভিযোগকারীর বরাতে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গাজীপুরের জয়দেব পুর থানায় ইমাম আহমেদ নোমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন একই উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে কেন অভিযোগ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন গতকাল (২০জুন,২০২৪) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাই ইমাম আহমেদ নোমান নামে এক ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে কটাক্ষ করে,সুনাম ক্ষুন্ন করে পোস্ট করেছে যা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মানতে পারিনি। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জয়দেবপুর থানা লিখিত অভিযোগ করেছি।
অন্যদিকে গতকাল (২০জুন,২০২৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ নামে আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবনার আমিনপুর থানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে কটাক্ষ করায়, সুনাম ক্ষুন্ন করায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানায় জিডি করেন।
আবার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে কটাক্ষ করায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার করা সাইবার মামলায় দিনাজপুর গ্রেফতার হয়েছে আরেক যুবক।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়ে কেন ট্রল করা হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে রিট কারী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, কোটার প্রয়োগ নিয়ে এদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ যুব সমাজের অজ্ঞতা আছে যেমন ঠিক আবার কিছু মানুষ চায় না মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কিছু লোক ঢুকুক। এদের গাত্রদাহ শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কোটা ব্যবস্থা নিয়ে মত ভিন্নমত থাকতেই পারে, প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা আছে কথা বলার কিন্তু কোটাকে ইস্যু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে কটাক্ষ করা শুরু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এ ইস্যুতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করছে তারা সাম্প্রদায়িক শক্তি,মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও জামাত শিবিরের মতাদর্শে বিশ্বাসী।
আমাদের কথা স্পষ্ট মহামান্য হাইকোর্ট দুই পক্ষের দীর্ঘদিন শুনানির পর আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন, এখন মামলা আপীল বিভাগে বিচারাধীন সেটা আদালতে সমাধান হবে কিন্তু কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেউ যদি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে কটাক্ষ করে,সুনাম ক্ষুন্ন করে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এ বিষয়ে বিভিন্ন জেলায় সাইবারে অনেক অভিযোগ করা হয়েছে এবং আমি প্রতিটি জেলায় বলে দিয়েছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যদি পরিকল্পিত ভাবে হীন উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়, জনরোষ তৈরি করে, গুজব ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিকটস্থ থানায় সাইবার আইনে অভিযোগ করতে, মি. অহিদুল যোগ করেন।