বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি সাব্বির এ খানের নেতৃত্বে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
বিএমসিসিআই সভাপতি জনাব সাব্বির এ খান মাননীয় মন্ত্রীকে তাদের সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফর সম্পর্কে অবহিত করেন। সফরকালে বিএমসিসিআই প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া ডিজিটাল ইকোনমিক কর্পোরেশন (এমডিইসি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেন। উন্নত প্রযুক্তির বিনিময় এবং কারিগরী দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিকভাবে উপকৃত হতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার যৌথ অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তাকে আলোচনায় উঠে আসে।
এছাড়াও বিএমসিসিআই সভাপতি মাননীয় মন্ত্রীকে SEMICON SOUTHEAST ASIA 2024 প্রদর্শনীতে বিএমসিসিআই প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ সম্পর্কেও অবহিত করেন, যেখানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প ব্যক্তিত্ব এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এবং মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিত্বগণ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিএমসিসিআই প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জাতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র মালয়েশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রোইলেক্ট্রনিক সিস্টেমস (MIMOS) পরিদর্শন করেন, এবং তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষমতা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কে ধারনা লাভ করেন।
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যকার সক্ষমতাগুলোকে কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বিএমসিসিআইকে আশ্বস্ত করেন যে তার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের আরও বিকাশে তার পূর্ণ সহায়তা দেবেন। তিনি বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, গবেষণা সহযোগিতা এবং অন্যান্য জ্ঞান-আদান-প্রদানের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ব্যবসা এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধার্থে একটি “বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল-মালয়েশিয়া” প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ মালয়েশীয় উদ্যোক্তাদের কাছে প্রচার এবং দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করতে এই প্ল্যাটফর্মের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন যে পোর্টালটি সম্ভাব্য মালয়েশীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ওয়ান স্টপ-শপ হিসেবে কাজ করবে যা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নীতি, কর প্রণোদনা এবং ব্যবসাবান্ধব অবকাঠামো সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে। এই পোর্টাল বাংলাদেশি এবং মালয়েশিয়ান কোম্পানিগুলির মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে চেম্বারের মুখ্য ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন যে বিএমসিসিআই এই “বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল-মালয়েশিয়া” উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ কন্টাক্ট পয়েন্ট হবে।
বিএমসিসিআই এই আইটি সংযোগ পোর্টালের উন্নয়ন ও প্রচারে তাদের পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সক্রিয় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে তার সদস্যদের বিস্তৃত নেটওয়ার্ককে কাজে লাগানোর অঙ্গীকার করেছে। বিএমসিসিআই সভাপতি মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন যে মালয়েশীয় চেম্বার দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ প্রবাহকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসাবে পোর্টালটি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণে সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থার সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই সহযোগিতা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের “স্মার্ট বাংলাদেশ” রূপকল্পে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে প্রযুক্তি সংযোগ এবং বিনিয়োগ প্রবাহকে শক্তিশালী করতে “বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া আইটি সংযোগ পোর্টাল”
Add A Comment