বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল কোম্পানির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘মেটা’। ফেসবুক হিসেবে যে মাধ্যমটিকে ব্যবহার করছি তার নাম অপরিবর্তিতই থাকবে। মূলত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম- এই মাধ্যমগুলোর মাদার কোম্পানি হিসেবে আগে যেমন ফেসবুক নামটি ব্যবহৃত হতো- এর বদলে নতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘মেটা’।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ এক লাইভ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফেসবুক লাইভে এক দীর্ঘ বক্তব্যে জাকারবার্গ জানান, এই কোম্পানিটি এখন যে বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে তা শুধু ফেসবুক নাম দিয়ে চিহ্নিত করা যায় না। আক্ষরিক অর্থে এই নামটি শুধু একটি দিককেই নির্দেশ করে। কিন্তু বর্তমানে ডালপালা ছড়িয়ে এই কোম্পানির আওতায় এসেছে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অন্যান্য মাধ্যমও।
ফেসবুকসহ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্য মাধ্যমগুলো এখন শুধু ছবি আপলোডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাইভ স্ট্রিমিং এবং ভিডিও ও অডিওকলের মতো আরও অসংখ্য ফিচার। কোম্পানিটির একেকটি মাধ্যম ব্যবহার করে এখন অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করছেন, রাতারাতি তারকা বনে যাচ্ছেন, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ যুক্ত হচ্ছেন আরও বৃহত্তর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে।
তাই শুধু মান্ধাতা আমলের ফেসবুক নাম নিয়ে এই কোম্পানির বিস্তৃত কর্মকাণ্ডকে আর ধরা সম্ভব নয়। সামাজিক যোগাযোগ থেকে এই কোম্পানির মাধ্যমগুলো এখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটির প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেছে। তাই এসব বিস্তৃত কর্মকাণ্ডকে ধরতে পারে এমন একটি যুৎসই নাম হিসেবে ‘মেটা’কেই বেছে নিয়েছে জাকারবার্গের দল।
এ প্রসঙ্গে ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি মাধ্যম, যারা যোগাযোগের প্রযুক্তি তৈরি করি।’
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে আমরা মানুষকে আমাদের প্রযুক্তির কেন্দ্রে রাখতে পারি। আর একসঙ্গে আমরা একটি বৃহত্তর নির্মাতা অর্থনীতিকে উন্মোচন করতে পারি।’
কোম্পানির নতুন নামের প্রসঙ্গে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ইন্টারনেটের পরবর্তী অধ্যায় হতে যাচ্ছে মেটাভার্স। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বদলে যাবে ইন্টারনেটের।’