ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১ নভেম্বর) ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ নভেম্বর ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)’।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম এবং ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে এ রিট আবেদন করা হয়। সিসিএসের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন এ রিট আবেদন করেন।
ওইদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ। ই-কমার্সে পণ্য অর্ডার করে পাননি এমন গ্রাহকদের অর্থ কেন ফেরত দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে প্রতিকার চাওয়া হয় রিটে। একই সঙ্গে ই-কমার্স পেমেন্টের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নিয়ম (এস্ক্রো সিস্টেম) সংশোধন করে গ্রাহকের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত পাওয়ার স্থায়ী পদ্ধতি কেন চালু করা হবে না তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ব্যাংকটির পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও একই মন্ত্রণালয়ের ডব্লিটিও সেলের মহাপরিচালক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদ, পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল ওয়্যারলেস, ফোস্টার পে ও সূর্য পে’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন বলেন, আমরা সিসিএস থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি। এস্ক্রোতে টাকা আটকে থাকা নিয়ে বেশ জটিলতা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরপর আদালতে রিট করা হয়।
সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, এস্ক্রো সিস্টেমে গ্রাহকের টাকা আটকে আছে। এখন গেটওয়েগুলো বলছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বা সরকারের অনুমতি লাগবে। কিন্তু আমার টাকা ফেরত পেতে কেন ই-কমার্সের অনুমতির জন্য আটকে থাকতে হবে? হাজার হাজার ভোক্তার কোটি কোটি টাকা আটকে থাকছে। এটা নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান হওয়া দরকার। এজন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ই-কমার্সে কোনো গ্রাহক পণ্যের অর্ডার দিলে তার টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে থাকে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর প্রমাণ জমা দিয়ে সেই টাকা ছাড় পায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় এ পদ্ধতি চালু করা হয়। কিন্তু গ্রাহক পণ্য না পেলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া টাকা ফেরত পান না। ফলে গ্রাহকের টাকা আটকে থাকছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে এরই মধ্যে গ্রাহকের কয়েকশ কোটি টাকা গেটওয়েগুলোতে আটকে রয়েছে।
একটি মন্তব্য
এমন পদ্বতি হওয়া উচিত, নির্দিষ্ট টাইম এর মধ্যেই প্রডাক্ট ডেলিভারি না দিলে ,অটোমেটিক টাকা গ্রাহক এর টাকা ফেরত পাবে