সিরাজগঞ্জ শপ এবং আলাদিনের প্রদীপসহ কয়েকটি ই-কমার্সের রিফান্ড কার্যক্রমের টাকা নগদ একাউন্টের মাধ্যমে ফেরত আসার পর ওই একাউন্টগুলো স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান অসংখ্য গ্রাহক। এতে করে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করবে বলেও জানা গেছে।
নগদ থেকে গ্রাহকদের ফোনে আসা এসএমএস এ জানানো হয়- কতিপয় অসাধু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হওয়ায় আপনার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সাপেক্ষে, পরবর্তী পদক্ষেপ আপনাকে অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে নগদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত কদিনে কিছু সংখ্যক ‘নগদ’ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর পর্যালোচনা ও লেনদেনের ধরন পরীক্ষা করে কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাকাউন্টগুলোর তালিকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩টি মন্তব্য
গত ২-৩ মাসে নগদের গেটওয়েতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা আটকে ছিলো যেগুলা নগদ তাদের নিজেদের টাকা মনে করে বিভিন্ন জায়গায় ইনভেস্ট করেছে ইউজ করেছে এখন হটাৎ করে যখন সব টাকা একসাথে রিফান্ড করা হচ্ছে তখনই তাদের মাথায় হাত। এইজন্যই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এবং একটা নিদিষ্ট সময় পরযন্ত গ্রাহকের টাকা আটকে রাখার জন্য নগদ এতো কাহিনি শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নিরদেশনা না থাকলেও তারা তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো গ্রাহকদের একাউন্ট সাসপেন্ড করেছে যেটা সম্পুর্ন আইনপরিপন্থি।
নগদ, যখন তাদের বর্তমান ভাষ্য মতে তথাকথিত অসাধু ইকমার্স সাইটগুলোকে প্রমোট করছে তখন কোনো সমস্যা ছিল না। আমরা তাদের বিজ্ঞাপন দেখে ডিসকাউন্টে আশায় নগদ দিয়ে পেমেন্ট করলাম। আজ ৩-৪ মাস পর ইকমার্স সাইটগুলো পণ্য দিতে ব্যর্থ হয়ে যখন বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের পরিশোধিত মূল্য ফেরত দিলো তখন নগদ এর চুলকানি শুরু হলো। এখন ইকমার্সগুলো হয়ে গেলো অসাধু, আমরা এসে গেলাম দুষ্টচক্রের সন্দেহের তালিকায়। আমি গত ৩-৪ মাস আগে যে পরিমাণ টাকা পেমেন্ট করেছি সেই পরিমাণ টাকাই ফেরত পেয়েছি।এটা তো নগদ এর সার্ভারে পই পই হিসাব থাকার কথা।২মাসে ৩/৪ টা ক্যাম্পেইনে পণ্যের জন্য পেমেন্ট করলাম।সাইটগুলো পণ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজে রিফান্ড রিকোয়েস্ট করলাম।মোটামুটি সবগুলো টাকা DFS মাধ্যমে ফেরত আসলো।কিন্তু বিনা নোটিশে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হলো। আরো কত রকম হয়রানি করবে তার কুল কিনারা নাই।
এই দেশে এগুলো দেখার কেউ নেই। সাধারন জনগনের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে, বাধা দেয়ার কেউ নেই। কি অসহায় আমরা।
নগদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক