ইভল্যুশনারি স্কেল নামের একটি নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ (স্টার্টআপ) সম্প্রতি প্রযুক্তি দুনিয়ায় এটি বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোটিন তৈরির কাজ করতে চায় স্টার্টআপটি। এ জন্য ইএসএম৩ নামের একটি এআই মডেলও তৈরি করেছে তারা। ওষুধ আবিষ্কার ও নতুন প্রোটিন তৈরি করতে পারে এই মডেল। এরই মধ্যে নিজেদের লক্ষ্য পূরণের জন্য চিপ নির্মাতা এনভিডিয়ার শাখা প্রতিষ্ঠান এনভেঞ্চার্স, ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন ডটকম, ওয়েবভিত্তিক হোস্টিং সেবা গিটহাবের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ন্যাট ফ্রিডম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলার সংগ্রহও করেছে তারা।
ইভল্যুশনারি স্কেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার রিভস বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রোটিন তৈরির জন্য কাজ করছি। যেভাবে প্রকৌশলীরা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করে মেশিন ও মাইক্রোচিপ তৈরি করেন, আমরা সেভাবে প্রোটিন তৈরি করছি। প্রোটিনের নকশা তৈরি করে বিভিন্ন রোগের গোপন রহস্য জানা যাবে। ফলে নতুন প্রোটিন তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরির সুযোগ মিলবে। বর্তমানে গবেষণাগারে প্রোটিনের নকশা করা বেশ সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। মানুষের শরীরে প্রোটিন নিয়ে পরীক্ষা চালানোর পদ্ধতিও বেশ জটিল।’
প্রোটিনের নকশা তৈরির জন্য বিশাল একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে ইভল্যুশনারি স্কেল। এই তথ্যভান্ডারের বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে ইএসএম৩ নামের এআই মডেলটি নতুন প্রোটিনের ক্রম তৈরি করবে। এআই মডেলটি অফলাইনেও ব্যবহার করা যায় বলে জানিয়েছে স্টার্টআপটি।
বিজ্ঞানী রিভস ২০১৯ সালে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার এআই রিসার্চ ল্যাব ফেয়ারে নতুন প্রোটিন তৈরির জন্য জেনারেটিভ এআই মডেল নিয়ে গবেষণা করেছেন। পরে মেটা থেকে বের হয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করেন তিনি। তাঁরই নের্তৃত্বে এআই মডেলের মাধ্যমে সবুজ ফ্লুরোসেন্ট প্রোটিনের একটি নতুন রূপ তৈরি করেছে ইভল্যুশনারি স্কেল। এই প্রোটিন প্রবাল ও জেলিফিশের আলোকিত রঙের উজ্জ্বলতার জন্য ভূমিকা রেখে থাকে।