প্রথমবারের মতো মুনাফার দেখা পেল দেশের অন্যতম বড় রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’। প্রতিষ্ঠার এক যুগ পর এসে মুনাফার দেখ পেল বাণিজ্যিক এ প্রতিষ্ঠানটি। এসিআই লজিস্টিকসের মালিকানাধীন এ সুপারশপটি ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সময়ে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। মুনাফার এই ধারা ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময়ে স্বপ্ন ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
গত ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে স্বপ্ন সুপার শপ। বর্তমানে রাজধানীর পাশাপাশি দেশের ৩৪ জেলায় স্বপ্নের কার্যক্রম রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও সুপার শপটি তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে করোনার সংক্রমণ শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন ৭৭টি আউটলেট চালু করেছে স্বপ্ন। মহামারির মধ্যে গ্রাহকের নিরাপত্তায় নেওয়া নানা কার্যক্রম ও ঘরে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সেবা (হোম ডেলিভারি) স্বপ্নের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।
তিনি বলেন, পর পর দুই প্রান্তিকে মুনাফা করা আমাদের জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সাধারণত সুপারমার্কেটের ব্যবসায় মুনাফা দেখা পেতে বেশ সময় লাগে। যাত্রার শুরুতেই আমাদের ৭০টির বেশি আউটলেট ছিল। সেগুলো ব্যবসায় খুব একটা ভালো করছিল না, তাই অনেকগুলো আউটলেট বন্ধ করতে হয়। আমাদের অনেক বিনিয়োগ ছিল। অবচয় খরচসহ আরও অনেক খরচ ছিল, যা পরিচালন খরচের মধ্যেই চলে আসে। এ ছাড়া সুপারশপের ব্যবসায়িক মডেলে দেখা যায়, ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জনে বেশ সময় লাগে।
সাব্বির হাসান নাসির জানান, সুপার মার্কেট ক্যাটাগরিতে ২০১৬ সাল থেকে টানা ৫ বছর টানা বেষ্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্বপ্ন। এ ছাড়া গত দুই বছর সমস্ত ক্যাটাগরির মধ্যে প্রথম পাঁচটি ব্র্যান্ডের একটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে স্বপ্ন। ব্র্যান্ড লেভেলে বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে স্বপ্ন এখন একটি গ্রহণযোগ্য নাম।
স্বপ্ন জানিয়েছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে স্বপ্নের বিক্রির পরিমাণ ছিল ২৯৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি। সারা দেশে স্বপ্নের ১৯০ টিরও বেশি আউটলেটে ৪ হাজার ৩০০ এর বেশি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে। দিনে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকসেবা প্রদান করে স্বপ্ন।
সাব্বির হাসান নাসির বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম ও গ্রাহকের ভালোবাসায় স্বপ্ন এখন একটি জায়গায় এসেছে। আমরা আশাবাদী যে এই অর্থবছরে আমরা পরিচালন পর্যায়ে মুনাফা করব।