ই-কমার্স গ্রাহকদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ই-কমার্সে চলমান অস্থিরতা নিরসন এবং নিরাপদ ই-কমার্স বিনির্মানে ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। জুবায়ের আহমেদ হৃদয়; সভাপতি বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন এবং সাকিব হাসান; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন এর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবীগুলো পেশ করেন তারা। দাবীগুলো হলঃ
১. ইভ্যালির সিইও মো: রাসেল সাহেবকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে সরকারের কঠোর নজরদারিতে রেখে ই-কমার্স নীতিমালা মেনে ব্যাবসা করার সুযোগ দিতে হবে।
২. কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ৩/৪ কার্যদিবসের মধ্যে গ্রাহকের পেমেন্টকৃত টাকা ফেরত দিতে হবে। (এক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়েগুলো কে ডিজিটালাইজ করার বিকল্প নেই।)
৩. কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে গ্রাহকদের পেমেন্টকৃত টাকা গেটওয়েতে (গ্রাহক) ক্লেইম করলেই ফেরত দিতে হবে । এক্ষেত্রে ঐ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
৪. যদি কোন কারণে ই-কমার্স এর পেমেন্ট গেটওয়েগুলো গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করে অথবা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায়ভার যারা এটার দায়িত্বে আছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।
৫. নতুন পুরাতন সহ সকল ডিসকাউন্ট দেওয়া ই-কমার্স কোম্পানি গুলোর লাভ লসের হিসাব প্রতি মাসে মাসে অডিটের ব্যাবস্থা করতে হবে অডিটের খরচ চাইলে সরকার অথবা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
৬.কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে বিজনেস করতে আসে সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পরিধির উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
অথবা, ডিসকাউন্ট ভ্যালু সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
৭. এসক্রো পদ্ধতিকে অটোমেটিক এবং ডিজিটাল করতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে৷ প্রয়োজনে এসক্রো সিস্টেমের ড্যাশবোর্ডে কাস্টমার, মার্চেন্ট, ইকমার্স প্রতিষ্টান, পেমেন্ট গেটওয়ে, ব্যাংক সবার এক্সেস দিতে হবে।
একটি মন্তব্য
এই নিয়ম মেনে ইভ্যালিকে ব্যাবসায়ের সুজোগ দেওয়াহোক।