ই-অরেঞ্জের মূল প্রতিষ্ঠান অরেঞ্জ বাংলাদেশের একজন পরিচালক হলেন রাজধানীর বনানী থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকতা সোহেল রানা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ই-অরেঞ্জের বিপুল পরিমান টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার উপর। তবে এই পুলিশ কর্মকতা প্রতিষ্ঠানটির সাথে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন এবং টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কোনো সাড়া দেন নি।
জানা যায়, একটি বেসরকারি ব্যাংকে ই-অরেঞ্জের হিসাবে গত এক বছরে ৬শ ৩০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। তার ১ কোটি টাকা রেখে পুরোটাই তুলে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত নভেম্বর থেকে ছয় মাসে ২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৫শ টাকা তুলে নেন পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। এই হিসাব থেকে টাকা তুলে নেয়াদের তালিকার প্রায় সবাই শেখ সোহেল রানার স্বজন। এছাড়া ই অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব থেকে অরেঞ্জ বাংলাদেশ এবং রেড অরেঞ্জ এ ৮০ লাখ ১৮ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, অরেঞ্জ বাংলাদেশের কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিনে পরিচালক হিসেবে পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার নাম রয়েছে। ঐ ই-টিন নিতে ব্যবহার করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত ই-টিন। রাজধানীর গুলশানের এক ঠিকানা থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
উল্লেখ্য, ই-অরেঞ্জ এর ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয় ২০১৯ সালের ৩০শে জুলাই সোনিয়া মাহাজাবিনের নামে, যিনি পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানার ছোট বোন। চলতি বছরের জুলাই মাসে ই অরেঞ্জ এর মালিকানা বদলে যায়। ট্রেড লাইসেন্স সংশোধন করে সোনিয়া মাহাজাবিনের বদলে বিথী আক্তারকে ই অরেঞ্জের স্বত্তাধিকারী ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, বিথি আক্তারের সাথে শেখ সোহেল রানার ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে।