বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির জবাবে ইভ্যালির ন্যূনতম ব্রান্ডভ্যালু ৫ হাজার কোটি টাকা বলে দাবি করেছেন কোম্পানির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। গত বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাবে কোম্পানির সম্পদের বিষয়ে জানান তিনি।
মোহাম্মদ রাসেল দাবি করেছেন, “আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ও সাম্প্রতিক সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর একই ধরনের ব্যবসায়ের মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে ইভ্যালির ন্যূনতম ব্রান্ডভ্যালু ৫ হাজার কোটি টাকা হয়। তবে তৃতীয় নিরপেক্ষ নিরীক্ষক দিয়ে যাচাইয়ের সুযোগ পাইনি বলে আমাদের কোম্পানির ব্রান্ডভ্যালু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র ব্যয়ের সমপরিমাণ অংশটুকু বিবেচনা করেছি।” চিঠিতে কোম্পানির সম্পদ বিবরণীতে কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং সব মিলিয়ে দায় দেখানো হয়েছে প্রায় ৫৪৩ কোটি টাকা। এর রেফারেন্সে ভারতের ফ্লিপকার্ট এবং জোমাটোর সাম্প্রতিক মূল্যায়নের কিছু তথ্যবহুল রেফারেন্স ও সম্পর্কিত সংবাদ সংযুক্ত করেছে কোম্পানিটি।
চিঠিতে আরো জানানো হয়, ‘ ইভ্যালিতে বর্তমানে ই-কমার্স ছাড়াও আরও বেশ কিছু সফল ডিজিটাল প্লার্টফর্ম ই-ফুড, ই-জবস, ই-বাজার, ই-হেলথ, ফ্লাইট এক্সপার্ট অন্তর্ভূক্ত হয়েছে যা কোম্পানির সার্বিক ব্র্যান্ড ভ্যালুকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।’
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট কয়েকধাপে সময় দিয়ে ইভ্যালির কাছে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও দায়ের বিবরণ, গ্রাহকের নিকট মোট দেনার পরিমাণ, সংশ্লিষ্ট গ্রাহক সংখ্যা, মার্চেন্টদের নিকট দেনার পরিমাণ, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দায় পরিশোধের সময়বদ্ধ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।