খেলাধুলার বিনোদনের দিকটা তো আছেই,এটা সর্বজনবিদিত জিনিস।কিন্তু এর অন্য দিক মনোযোগের বাইরেই রয়ে যায়।এই অন্যদিক আসলে কী! হ্যাঁ, ক্যারিয়ার অপশনের কথাই বলছি।আচ্ছা, নেইমারের ট্রান্সফার ফি কত ছিলো মনে আছে? কী পরিমাণ জার্সি পিএসজি সেল করেছিলো মনে আছে? রজার ফেদেরার বা টাইগার উডসের বার্ষিক আয় শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়া ছাড়া উপায় নেই! হালের আইপিএল বা আমাদের বিপিএলে টাকার ঝনঝনানি কেমন!
আর ফুটবল লীগ বা আমেরিকান বাস্কেটবল লীগের ( NBL) বা বক্সিং লীগের কথা না হয় বাদ-ই দিলাম! এসবে তো সেলিব্রিটি বা আয়োজকদের পোয়াবারো।বাকী যারা পর্দার আড়ালে তাদের সুযোগই বা কেমন!
চাহিদার মাত্রা অনুযায়ী তেমন কিছু কাজ হলো-
স্পোর্টস ব্লগিংঃ
খুবই ভ্যালুয়েভেল একটা অপশন এটা! স্পোর্টস নিয়ে যারা সারাক্ষণ মাতামাতি করেন,তাদের জন্য এটা হতে পারে যথাযথ একটা উপায়।আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং স্টাইলেই লিখালিখি শুরু করতে পারেন! বিশ্বের সেরা কিছু স্পোর্টস এনালিস্ট এভাবেই উঠে এসেছেন।আপনি পছন্দসই একটা ক্যাটাগরি বেছে নিয়ে লিখা শুরু করতে পারেন। তবে অবশ্যই আগে দক্ষ হতে হবে; তবেই মোক্ষ লাভ ঘটবে।
স্পোর্টস ফটোগ্রাফিঃ
ফটোগ্রাফির অনেক দিক তো আমরা জানি,ওয়েডিং,ফুড, ওয়াইল্ড এরকম আরো অনেক! স্পোর্টস ফটোগ্রাফিও আকর্ষণীয় একটা অপশন! খেলাধুলার বিস্তৃতির সাথে সাথে এসব অপশনের সুযোগও বাড়ছে; ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজের আওতাও বড় হচ্ছে।প্যাশনেট যে কেউ এটাকে বেছে নিতে পারেন চাইলেই।
স্পোর্টস স্যুভেনিরঃ
কেমন হয় যদি ক্যাপ্টেন মাশরাফির শখের চশমাটা আপনি নিতে পারেন বা মোহাম্মদ রুবেলের রিস্ট ব্যান্ডটা।এগুলো অবশ্যই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নিবেন না; কোন সামাজিক কাজের অর্থায়নের জন্যই নিবেন! আর এর ফাঁকে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হিসেবে আপনার একটু অর্থযোগ।বাইরের দেশে এটা তুমুল জনপ্রিয়। হুট করে পারবেন এমনটা ভাবারও কারণ নেই, তবে পারতে চাইলে ঠেকানোরও কেউ নেই।
রিভিউ রাইটারঃ
ফ্রিল্যান্স মার্কেটে যারাই আছেন,তারাই জানেন বিভিন্ন স্পোর্টস রিলেটেড রিভিউ লিখে কেমন আয় করা সম্ভব।যা-ই লিখেন না কেন, আপনাকে ঐ বিষয়টা সম্বন্ধে বেশ ভালো ধারণা রাখতে হবে।আর খোঁজ খবর রাখতে হবে বিভিন্ন স্পোর্টসের।
পিআর ও ব্র্যান্ড হ্যান্ডেলিংঃ
অনেকেই পিআরটা বুঝেন না এখনো।পিআর মানে পাবলিক রিলেশন। অর্থাৎ ক্লাব বা ব্যক্তির হয়ে মিডিয়ায় মুখপাত্রগিরি করা।বিশ্বাস করবেন না, বাইরের দেশগুলোয় পিআর ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশাল বিশাল কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে উঠেছে। এমনকি ব্যক্তি উদ্যোগে পিআর হিসেবে কাজ করার হাজারো নজির আছে।এছাড়া পিআর ফার্মগুলো সেলিব্রিটিদের হয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।নেইমারের পিআর ইস্যুগুলো যেমন তার বাবাই দেখেন। এই দেশে খেলাধুলার পরিধি বেশ বড় হচ্ছে।ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলো আমাদের মার্কেটকে নাড়া,দিবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
বিপিএল,ফুটবলে বিভিন্ন আসর, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ইভেন্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে এটাই বুঝা যায় যে এই দেশে এই সেক্টরেও সুদিন আসছে। সুদিনের অপেক্ষা!