আজ বাংলাসহ সারা বিশ্বের জন্য অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও । অনেক রক্তস্নানের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি ভাষার মর্যাদা ।
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ পাকিস্তানি শাসকদের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে এ ধরনের গতিবিধি ও কর্মকাণ্ড আন্দোলনের দাবানল সৃষ্টি করে। জিন্নাহর ঘোষণার পর থেকেই তমদ্দুন মজলিসের নেতৃত্বে বাংলা রাষ্ট্রভাষার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠিত হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা শহরের সব স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করা এবং আরবি হরফে বাংলা ভাষার প্রচলনের চেষ্টার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করেন। আর একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রদেশব্যাপী ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়। ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। নিহত হন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, সফিউরসহ নাম না জানা অনেকে। এরপর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে পাকিস্তানি সরকার। বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এলে একুশে ফেব্রুয়ারিকে শোক দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের রীতি চালু হয়। একুশের পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রাম।
তাই সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণকরে ২১ শেফেব্রুয়ারী, ২০২৩ তারিখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র কম্পানিস এসোসিয়েশন -বিকা । বিকা’র কার্য- নির্বাহী কমিটি পক্ষে সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিত হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ফারসাদুল হক সৌরভ, দপ্তর সম্পাদক ইন্জি সুকান্ত ভাবুক রোমান, সিনিয়র পরিচালক মোঃ আল আমিন, পরিচালক অরূপা দত্ত ও শাহরিয়াসহ সাধারণ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিকার সভাপতি বলেন ২১শে ফেব্রুয়ারি শুধু ভাষার জন্য সন্মান নয় একজন মানুষ তার অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম শেখায়। সাধারন সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, সারা বিশ্বে আমরা বাংঙ্গালীরাই একমাত্র জাতি যারা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে জীবন দিয়েছেন। পরবর্তীতে আগামী বছর সরকারের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের জন্য বিকা কাজ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
—–২১শে নিউজ ডেস্ক