আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তিসহ সাত দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মার্চেন্ট ও ভোক্তারা।
৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ইভ্যালি মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন এবং কো-সমন্বয়ক সাকিব হাসান।
দাবীগুলো হলঃ
১. ইভ্যালির সিইও মো: রাসেল সাহেবকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে সরকারের কঠোর নজরদারিতে রেখে ই-কমার্স নীতিমালা মেনে ব্যাবসা করার সুযোগ দিতে হবে।
২. কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ৩/৪ কার্যদিবসের মধ্যে গ্রাহকের পেমেন্টকৃত টাকা ফেরত দিতে হবে। (এক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়েগুলো কে ডিজিটালাইজ করার বিকল্প নেই।)
৩. কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে গ্রাহকদের পেমেন্টকৃত টাকা গেটওয়েতে (গ্রাহক) ক্লেইম করলেই ফেরত দিতে হবে । এক্ষেত্রে ঐ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
৪. যদি কোন কারণে ই-কমার্স এর পেমেন্ট গেটওয়েগুলো গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করে অথবা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায়ভার যারা এটার দায়িত্বে আছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।
৫. নতুন পুরাতন সহ সকল ডিসকাউন্ট দেওয়া ই-কমার্স কোম্পানি গুলোর লাভ লসের হিসাব প্রতি মাসে মাসে অডিটের ব্যাবস্থা করতে হবে অডিটের খরচ চাইলে সরকার অথবা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
৬.কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে বিজনেস করতে আসে সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পরিধির উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
অথবা, ডিসকাউন্ট ভ্যালু সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
৭. এসক্রো পদ্ধতিকে অটোমেটিক এবং ডিজিটাল করতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে৷ প্রয়োজনে এসক্রো সিস্টেমের ড্যাশবোর্ডে কাস্টমার, মার্চেন্ট, ইকমার্স প্রতিষ্টান, পেমেন্ট গেটওয়ে, ব্যাংক সবার এক্সেস দিতে হবে।