বাংলাদেশ ই-কমার্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বেকমা) এর এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট বিকালে কাওরানবাজার স্টার কাবাব হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং জাতীয় শোক দিবসের নিরবতা পালনের মাধ্যমে সভা শুরু হয়।
এ সভায় বিইসিএমএ এর সভাপতি নাসির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ এমদাদ উল্লাহ এবং সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধামাকা অনলাইন শপিং এর সিওও সিরাজুল ইসলাম রানা।
বেকমা এর সভাপতি নাসির উদ্দীন জানান, সভায় ই-কমার্স মার্চেন্টদের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সমসাময়িক ই-কমার্স পরিস্থিতি নিয়ে সদস্যরা মত বিনিময় করেন। নতুন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নগদ টাকায় ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিনি আরো জানান, কোন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যদি আমাদের সাথে কমিটমেন্ট না রাখে সেই ক্ষেত্রে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
সভায় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালির কাছে কয়েকটি দাবি জানানোর কথা বলেন তারা। তারা বলেন, ইভ্যালির সাথে বেকমা এর সদস্যবৃন্দ সরাসরি মিটিং করে দাবিগুলো জানানো হবে। যেই সব দাবি জানানো হবে তা হলো- সেলারদের জন্য ইভ্যালি অফিসে একটা উইং থাকতে হবে। সেলার ড্যাসবোর্ড আপডেট করতে হবে। পূর্বের পাওনা সেলার পেমেন্ট কিভাবে পরিশোধ করবে সেই ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে। টি থ্রি, টি সেভেন ও টি টেন ক্যাম্পেইনের পেমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ইভ্যালি যদি ১৫ দিনে পেমেন্ট দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়, ১৫ দিনেই দিতে হবে।
বেকমা সাধারণ সম্পাদক শাহ্ এমদাদ উল্লাহ বলেন, মার্কেটপ্লেসে সেলারদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিভিন্ন অনিয়ম হয় কারণ সেলারদের পক্ষ থেকে কথা বলার মত কেউ নেই। এই বিষয়গুলো যাতে না হয় সে জন্যই আমাদের এই সংগঠন করা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স নীতিমালা অনুযায়ী যারা বিজনেস করবে আমরা শুধুমাত্র তাদের সাথেই কাজ করব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ই-কমার্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বেকমা) মূলত এসএমই সেলারদের সংগঠন। যাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসে মার্চেন্ট হিসেবে ব্যাবসা করতে গিয়ে সেলাররা যেমব সমস্যার সন্মুখীন হন সেগুলো সমাধান করা।