দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্লাটফর্ম প্রিয়শপ ডটকম ( priyoshop.com ) আয়োজন করেছে ‘অনলাইন কোরবানি হাট’। এর ফলে পরিবারের সব সদস্যদেরকে দেখিয়েই কিনতে পারবেন এবারের কোরবানির পশুটি!
এতে কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে আশা করছে প্রিয়শপ।
একেবারে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা গরু ও ছাগল দিয়ে অনলাইন কোরবানি হাটে সাজিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়েবসাইট থেকে কেউ কোরবানির পশু কিনলে সেটি বিনা খরচে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে প্রিয়শপ ডটকম। ফলে পশু কেনার পর বাসায় নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি পোহাতে হবে না ক্রেতাকে। এরই মধ্যে প্রিয়শপের হাটে গরু তোলা হয়েছে।
ক্রেতারা ওয়েবসাইটে গরু দেখতে এবং কিনতে পারবেন। এখানে পশুর ছবিসহ দাম, উচ্চতা ও ওজন দেওয়া আছে। ক্রেতারা গরু পছন্দ করার পর বিকাশ, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ডিপোজিট, মোবাইল ব্যাংকিং দিয়ে মূল্যে পরিশোধ করে তা নিশ্চিত করতে পারবেন।
প্রবাসীরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে পছন্দের পশু কিনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করলে বাংলাদেশে তাদের দেওয়া নির্ধারিত ঠিকানায় গরু পৌঁছে দিবে প্রিয়শপ।
প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশিকুল আলম খাঁন বলেন, ‘গরুর ওজন অনুযায়ী কেজিপ্রতি দামের ভিত্তিতে ‘ফিক্সড প্রাইসে’ গরু বিক্রি করা হবে। কোরবানির পশু কেনা মাত্র ক্রেতাকে এসএমএস দিয়ে নিশ্চিত করা হবে। আর যারা বুকিং দিচ্ছেন, ঈদের এক/দু’দিন আগে তাদের বাসায় গরু পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এ ছাড়া ঝামেলা ও খরচ বেশি হলেও করোনাভাইরাসের কারণে ‘ফুল প্রসেস সার্ভিস’ দেবে প্রিয়শপ।
যেহেতু এটা কোরবানির বিষয়, তাই ধর্মীয় সব অনুষঙ্গ নিশ্চিত করে কোরবানির সময় একজন হাফেজের তত্ত্বাবধানে কোরবানি দেওয়া হবে। কোরবানি শেষ হওয়ার পর এসএমএসের মাধ্যমে তা ক্রেতাকে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং প্রক্রিয়াজাত করে মাংস বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে।
জনাব খাঁন জানান, কোরবানি উপলক্ষে গ্রাম পর্যায়ে যারা গরু পালন করেন এবং এ বছর অনলাইনে বেচাকেনা করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য প্রিয়শপ ওয়ান স্টপ সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে।
আশিকুল আলম খাঁন আরও বলেন, কোরবানির পশু ছাড়াও ঈদ উপলক্ষে প্রিয়শপে ডিজিটাল স্কেল, ছুরি, কাঁচি ও চামচ, স্লাইসার ইত্যাদি পণ্য ছাড়ে মিলছে।