উদ্যোক্তা সম্পর্কে আমাদের কম বেশি সবার ধারনা আছে।উদ্যোগ এমন একটি মাধ্যম যা একজন মানুষকে জিরো থেকে হিরোতে পরিনত করে।কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো!কিন্তু এটিই সত্য।আপনি নিজেই একবার ভাবুন তো বিশ্বের বিখ্যাত উদ্যোক্তা ওয়ারেন বাফেট একজন সাধারন ব্যক্তি থেকে কিভাবে বিশ্ববিখ্যাত উদ্যোক্তাতে পরিনত হলেন?অবশ্যই তিনি অনেক কষ্ট করেছেন সাথে উদ্যোগ নেওয়ার মত ঝুঁকি তিনি সঠিক সময়ে নিয়েছিলেন।প্রতিটি উদ্যোগের পিছনে একটি গল্প থাকে এবং সে গল্পের মাঝে হাজারো ব্যর্থতা এবং সফলতার গল্প নিয়ে উঠে অসাধারন এক ব্যক্তির জীবনী।তেমনি আমাদের সমাজে বিভিন্ন পর্যায়ে বা বিভিন্ন স্থানে উদ্যোক্তা আছেন বিশেষ করে যারা নারী উদ্যোক্তা তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যার সামনা সামনি করতে হয়।যা হয়ত একা সামাল দেওয়া অনেকটা কষ্ট সাধ্য। এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সময় এবার শেষ হয়ে যাওয়ার পালা। কারন শাহীন’স হেল্পলাইন বিশেষ ভাবে নারীদের বিভিন্ন উদ্যোক্তা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করছে ।
আমাদের দেশে শাহীন’স হেল্পলাইন এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে যেকোন নতুন উদ্যোক্তা সাহায্য,পরামর্শ নিতে পারবে। কি ভেবে অবাক হচ্ছেন তো! তবে বলতে হবে হ্যাঁ শাহীন’স হেল্পলাইন তাদের সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুধুমাত্র উদ্যোক্তাদের কথা চিন্তা করেই করেছে।তারা নারী উদ্যোক্তাদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় বর্তমানে কাজ করে চলেছে।আমাদের দেশে প্রচুর নারী উদ্যোক্তা আছেন যারা সঠিক তথ্যের অভাবে নিজের উদ্যোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারছেন না।তাদের সাহায্যে পাশে দাঁড়িয়েছে শাহীন’স হেল্পলাইন।
শাহীন’স হেল্পলাইনের মাধ্যমে যে কোন উদ্যোক্তা ট্রেডলাইসেন্স পেতে পারে খুব সহজে,এছাড়া নতুন উদ্যোক্তা তাদের আইডিয়া বা প্ল্যান শেয়ার করে শাহীন’স হেল্পলাইন থেকে সাহায্য পেতে পারবে।শাহীন’স হেল্পলাইন বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা করেছে উদ্যোক্তাদের জন্য এবং বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে নারী উদ্যোক্তাদের।প্রতি নিয়ত উদ্যোক্তারা তাদের সমস্যা নিয়ে সাহায্যের জন্য ঘুরে বিভিন্ন দাড়ে দাড়ে কিন্তু সঠিক সমাধান পায় না।এই সঠিক সমাধান দিতেই সব সময় উদ্যোক্তাদের পাশে আছে শাহীন’স হেল্পলাইন। এ সাক্ষাৎকার করার সময় আমরা কথা বলেছি শাহীন’স হেল্প থেকে সার্ভিস নেওয়া কয়েকজন নারী উদ্যোক্তাদের সাথে।
এমনই একজন হলেন ঋতুর সিইও শারমিন কবীর, তিনি বলেন তাকে ট্রেডলাইসেন্স নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা তো করতেই হয় নি সাথে কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় নি।কারন তার পাশে ছিলো শাহীন’স হেল্পলাইন। তিনি আরো বলেন-
“ট্রেডলাইসেন্স করা নিয়ে সত্যিকার অর্থে কোনো চিন্তাই করতে হয়নি।কারন শাহিন’স হেল্পলাইন পাশে ছিল।নির্ধারিত ফী, প্রয়োজনীয় তথ্য আর কাগজপত্র দিয়ে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে অফিসে পেয়ে যাই ট্রেডলাইসেন্স।এছাড়াও যেকোন সময়ে যেকোন সহায়তার জন্য শাহিন’স হেল্পলাইনকে সর্বদাই পাশে পেয়েছি।”
শাহীন’স হেল্পলাইন এত বড় পরিসরে আসার পিছনের গল্প অনেকেই জানতে চায়।এই গল্প খুব একটা সহজ ছিলো না। অনেক কাঠগড় পুড়িয়ে তবেই এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন মো: আমিনুল ইসলাম।
মো: আমিনুল ইসলাম র্দীঘদিন চাকুরী করেছেন বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে।এরই ধারাবাহিকতায় তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী নিয়ে চলে যান পটুয়াখালী।এর আগে স্থায়ী ভাবে কখনো ঢাকার বাহিরে থাকা হয়ে উঠেনি মো: আমিনুল ইসলামের।অন্যান্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সময় কাটাতে গিয়ে একটি বিষয় তিনি লক্ষ্য করে দেখলেন যে, স্থানীয় পর্যায়ে নানাবিধ সমস্যা তো রয়েছেই সেই সাথে একটি বড় সমস্যা হলো তথ্য নিয়ে গোপনীয়তা অর্থ্যাৎ কোন প্রতিষ্ঠান অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের কোন প্রকার তথ্য শেয়ার করতে চায় না হোক সেটা নিজের কিংবা কোন দাতা সংস্থার ফলে নিজেরাই একেক জন একেক জনের প্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠেছে অথচ তারা চাইলেই নিজেরা নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করে অনেক উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
হঠাৎ করে এর মধ্যেই পটুয়াখালীর চাকুরীটি ছেড়ে আবার পাড়ি জমালেন ঢাকায় এবং একটি ব্যবসায়িক চেম্বার প্রতিষ্ঠানে যোগদান করলেন।এখানে এসেও দেখলেন প্রায় একই অবস্থা সকল ব্যবসায়ীরাই নিজেদের তথ্য গুলো নিজেদের কাছে সংরক্ষিত রাখতে যেন ভালবাসে এবং যতটা সম্ভব নিজেদের তথ্য গোপন রাখেন।এই ধারাটি চলে এসেছে বহু যুগ ধরে,বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্য গোপন রাখে যেন অন্য প্রতিষ্ঠান সে একই কাজ করতে না পারে,কিন্তু এক প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করলে দেশের উন্নয়ন অনেক অংশে বৃদ্ধি পায়।
আবার নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া তথ্য সরবরাহ করার মত কেউ নেই।ফলে একজন নতুন উদ্যোক্তার জন্য তার উদ্যোগ এর প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা একটু কষ্টকর হয়ে উঠে।
নতুন উদ্যোক্তা এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজে তাদের সহায়ক তথ্য পেতে পারেন সেজন্য ফেইসবুক এ একটি পেইজ খোলা হলো যার নাম দেয়া হলো ”শাহিন’স হেল্পলাইন”।নিজের কাজের পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময়সূচী ইত্যাদি আপলোড করে দেয়া হতো পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদের কোথা থেকে তারা ট্রেডলাইসেন্স করবেন , আর কি কি লিগ্যাল ডকুমেন্ট লাগবে ইত্যাদি বিষয়ে সহজ ভাষায় সময় করে করে লিখতে লাগলেন মো: আমিনুল ইসলাম।আর এভাবেই শাহিন’স হেল্পলাইন এর যাত্রা শুরু হল।
উদ্যোক্তা বিষয়ক লেখা গুলো নিয়ে পরবর্তীতে মো: আমিনুল ইসলামের “উদ্যোক্তার অ আ, ক খ” নামে একটি বই বের করা হয় যা নতুন উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয় বই হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।কারন এই বইটিতে একজন নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে নিজের আত্নবিশ্বাস বাড়াবে এবং কিভাবে সাহসিকতার সাথে উদ্যোগ নিবে সে সম্পর্কে বলা হয়েছে।
দিনে দিনে ফেইসবুক পেইজ এ লাইক বাড়তে লাগলো,বাড়তে লাগলো বিভিন্ন অনুরোধও।বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে আবার তারাই অনুরোধ করতো, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (প্রকল্পপ্রস্তাবনা, আগ্রহপত্র, ধারনাপত্র) ইত্যাদি তৈরী করে দেবার জন্য।এই সকল অনুরোধ গুলো কখনও ফেলতেন না মো: আমিনুল ইসলাম। মো: আমিনুল ইসলাম চাকুরীর পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর হয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা, আগ্রহপত্র, ধারনাপত্র ইত্যাদি লেখা শুরু করলেন।
ঠিক একই ভাবে যারা নতুন উদ্যোক্তা তৈরী হবার জন্য নিয়মিত লেখাগুলো পড়তেন তারাও অনুরোধ করতেন ট্রেডলাইসেন্স, ট্রেডমার্ক, ই-টিন সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য ডকুমেন্টগুলো তৈরী করে দেবার জন্য।শাহিন’স হেল্পলাইন সত্যিকার অর্থ্যেই চেষ্টা করছিল সবাইকে সহযোগীতা করার জন্য নিজেদের নামের সার্থকতা তৈরীর জন্য এবং সকল উদ্যোক্তাদের সাহায্য করতে।কিন্তু কোথায় যেন নিজের চাকুরী একটি বাধা হয়ে দাড়াচ্ছিল মো: আমিনুল ইসলামের কাছে।
নিজের সাথে যুদ্ধ করে, নিজের আস্থা, দক্ষতাকে পুঁজি করে ২০১৫ সালের অক্টোবরে চাকুরী ছেড়ে পুরোপুরি উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ শুরু করেন মো: আমিনুল ইসলাম। শুরুতে নিজেই সব কাজ করতেন অর্ডার আনতেন আবার কাজ করে ডেলিভারীও দিয়ে আসতেন।নিজেই নিজের প্রতিষ্ঠানের সিইও আবার নিজেই নিজের প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারীম্যান হিসেবে কাজ করেছেন মো: আমিনুল ইসলাম।পরিবার, বন্ধু, উদ্যোক্তা বন্ধুদের সহযোগীতায় এখন প্রায় বড় একটি টিম কাজ করছে শাহিন’স হেল্পলাইনে।ইতিমধ্যে প্রায় ১০০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানকে কোন না কোন ভাবে সেবা প্রদান করেছে শাহিন’স হেল্পলাইন।
শাহিন’স হেল্পলাইন এর বিশেষত্ব হলো শাহিন’স হেল্পলাইন নতুন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে এবং তাদের জন্যই নানা রকম প্রডাক্ট তৈরী করে সেবা প্রদান করে আসছে।শাহিন’স হেল্পলাইন থেকে পরামর্শ নিতে কোন টাকা লাগে না এবং তা একদমই ফ্রি,যেকোন পরামর্শ দিতে শাহীন’স হেল্পলাইন প্রস্তুত।কোন নতুন উদ্যোক্তা বা যে কেও ফেইসবুক পেইজ, মোবাইল, ইমেইল যে কোন মাধ্যম ব্যবহার করে শাহিন’স হেল্পলাইন এর সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং পরামর্শ নিতে পারে।যদি বাস্তবিক অর্থে কোন সেবা প্রদান করে যেমন: কোন প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরী, লাইসেন্স তৈরী করে সেক্ষেত্রে কিছু সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে শাহীন’স হেল্পলাইন।
নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে শাহীন’স হেল্পলাইন তাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করেছে এবং আগামীতে সেবা প্রদান করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ।শাহীন’স হেল্পলাইন নিয়ে বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তারা তাদের অনুভূতি,তাদের ভালো লাগা শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে –
“আমাদের প্রতিষ্ঠান পিটিআরসির ট্রেডলাইসেন্স এবং ট্যাক্সের বিষয়ে সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিল শাহীন’স হেল্পলাইনের।গত চার বছর ধরে শাহীন’স হেল্পলাইন দায়িত্ব নিয়ে কাজটি করে দিচ্ছে।আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান শাহীন’স হেল্পলাইনের কাছে কৃতজ্ঞ।তাদের সেবা এবং আন্তরিকতায় মুগ্ধ।শাহীন’স হেল্পলাইনের উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করছি।”
কথা গুলো বলছিলেন পিটিআরসির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে শায়লা রুমকী।
শাহিন’স হেল্পলাইন নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে প্রথম হোম সার্ভিস পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে ট্রেডলাইসেন্স সেবা চালু করেছে।এছাড়া নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য মোবাইল এ্যাকাউন্টস সেবা, উদ্যোক্তা বান্ধব স্বল্পমূল্যে সফটওয়ার সেবা সহ নানা প্রকার সেবা চালু করেছে।এছাড়া অন্যান্য লিগ্যাল ডকুমেন্ট তৈরীর সেবা তো রয়েছেই শাহীন’স হেল্পলাইনে।
লিগ্যাল ডকুমেন্ট তৈরি করতে যেয়ে প্রথম দিকে মাকসুদা খাতুনের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো এবং তিনি প্রায় হাল ছেড়েই দিচ্ছিলেন যে এত সমস্যা হচ্ছে একটি কাজ করতে তিনি মানসিক ভাবেও ভেঙ্গে পড়েছিলেন।হঠাৎ করে তিনি তার বন্ধুর মাধ্যমে শাহীন’স হেল্পলাইনের নাম শুনেন এবং জানতে পারেন তারা লিগ্যাল ডকুমেন্টের সেবা দিয়ে থাকেন।মাকসুদা খাতুন তার লিগ্যাল ডকুমেন্ট কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই কম সময়ে তৈরি করতে পেরেছেন শাহীন’স হেল্পলাইনের সাহায্যে।
“যখনই আমাদের আশেপাশ থেকে যারা শাবাবলেদার এর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তেমন কারো কথা বলতে চাই ,তখন একটি নামই ভেসে ওঠে নামটি খুব চেনা,শাহিন’স হেল্পলাইন এর নাম,এই প্রতিষ্ঠানটি সব’দা আমাদেরকে পরামশ’ ও সেই সাথে ট্রেডমার্ক ও ভ্যাট এর পেপারস রেডি করা সহ যাবতীয় লিগাল ডকুমেন্ট এর বিষয়ে সর্বদা পরামর্শ দিয়ে আমাদের পাশে ছিলেন, যা আমাকে সাহসিক হতে সাহায্য করেছে এবং সেই সাথে আমার ব্যবসায়ও যথেষ্ট গুরুতপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে।”
শাবাবলেদারের সিইও মাকসুদা খাতুনের মন্তব্য গুলো এভাবেই শেয়ার করেন আমাদের সাথে।
শাহিন’স হেল্পলাইন নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একদম প্রাথমিক কিছু বিষয় নিয়ে “উদ্যোক্তার প্রি-স্কুল” নামে একটি বই বের করেছে।শাহিন’স হেল্পলাইন ২০১৫ সালে ফেইজবুক গ্রুপ “চাকুরী খুঁজবো না, চাকুরীদেব” থেকে নবীন উদ্যোক্তা স্মারক এ ভূষিত হয়েছে।এছাড়া শাহিন’স হেল্পলাইন বাংলাদেশের একমাত্র পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যা কিনা আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম আপওয়ার্ক (UPWORK) এ বাংলাদেশ চেপ্টার এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।একজন উদ্যোক্তার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে শাহীন’স হেল্পলাইন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে এবং নারী উদ্যোক্তার সাহায্যে সব সময় পাশে আছে শাহীন’স হেল্পলাইন এবং তাদের সম্পূর্ন টিম।