প্রলোভন-প্ররোচনায় আকৃষ্ট না করে ই-কমার্স খাতে টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সমন্বিত নীতিমালা ও দিক-নির্দেশনা দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বয় বৃদ্ধি, সহায়ক কর ও শুল্ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং ক্রস-বর্ডার বাণিজ্য বিকাশে গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ই-কমার্স খাতের বিকাশে টেকসই ইকোসিস্টেম প্রণয়ন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডায়ালগে এসব বিষয়ে জোর দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসঙ্গতি ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে ই-কমার্স খাতে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা নিরসনে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে বলেছেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা পাঠাওয়ের প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহেমেদ মনে করেন,গত দুই বছর ধরে দেশের ই-কমার্স খাতে প্রসার ঘটছে ভঙ্গুর একটি অবকাঠামোর। এ জন্য চারটি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। বক্তব্যে ই-কমার্স মানেই ডিসকাউন্ট দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দারাজ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম।
অপরদিকে দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও দেশের ই-কমার্স কেনো এখনো চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরেছেন ই-ক্যাব’র জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। তিনি বলেছেন, অনেক চেষ্টা করেও আমরা দুই বছরে এসক্রো সেবা চালু করতে পারিনি। আইনি সীমাবদ্ধতায় জালিয়াতদের আইনের আওতায় আনতে পারছি না। তবে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় সম্প্রতি ই-কমার্স খাতে একটি এসওপি প্রণয়ন করেছে, যার মাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকস অনুষদের ডিন প্রফেসর এ কে এনামুল হক, নগদ’র প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আশীষ চক্রবর্তী, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশেদ আনোয়ার, পাঠাও’র সভাপতি ফাহিম আহমেদ ও তানজিব আলম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট’র হেড অফ চেম্বার ব্যারিস্টার কে এম তানজিব-উল-আলম প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।