স্থগিত হলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) নির্বাচন। শনিবার (৯ মার্চ) সংগঠনটির ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ও শাখা কমিটি নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কবে হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিন বিসিএসের নির্বাহী কমিটি ও ১১টি শাখার কমিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিসিএস’র নির্বাচন বোর্ডের সচিব মো. তোজাম্মেল উদ্দীন শিকদার স্বাক্ষর করা সদস্যদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়। সদস্যদের জানানো হয়, নির্বাচন বোর্ডের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আপিলের ওপর ভিত্তি করে ৭ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানির সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে পাওয়া যাবে। এই প্রেক্ষাপটে ৯ মার্চের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, বিসিএস’র নির্বাহী কমিটির সাতটি পদের জন্য ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদিকে দুজন প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের পরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় নির্বাচন বোর্ড তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে। এ বিষয়ে তারা আপিল করলে আপিল বোর্ডও একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। পরবর্তী সময়ে তারা নির্বাচন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) বরাবর আপিল করলে ডিটিও মনোনয়নপত্র দুটি বৈধ বলে সিদ্ধান্ত দেয়।
এ বিষয়ে পুনঃশুনানির জন্য বিসিএস’র নির্বাচন বোর্ড আবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করে। সেই আপিলের শুনানি আজ (বৃহস্পতিবার) হয়েছে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আপিলের সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহের আগে পাওয়া যাবে না। এ অবস্থায় ৯ মার্চ নির্বাচন করা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই বিসিএস’র নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-২ এর উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত (৭ মার্চ) চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এবার বিসিএসের মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১৫০ জন। কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বিসিএসের আরও ১১টি শাখা কমিটির নির্বাচনও একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ১১টির মধ্যে ৯টি শাখার কমিটির জন্য সাত জন করে প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা নির্বাচিত হবেন। রংপুরে ১৪ ও সিলেটে ১১ জন প্রার্থী থাকায় ওই দুটি শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।