২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে হুইসেল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আয়োজন করে চিত্রাঙ্কণ উৎসব। রাজধানী ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত হাজী নোয়াব আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রভাতফেরির মধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সকাল ৭ ঘটিকায় হাজী নোয়াব আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের সাথে হুইসেলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ ইকবাল হোসেন প্রভাতফেরি তে অংশগ্রহণ করেন।প্রভাতফেরির পর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয় এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য প্রার্থনা করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহীদ দিবস এর উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়।
আলোচনা পর্ব শেষ হওয়ার পরে শুরু হয় চিত্রাঙ্কণ উৎসব, হুইসেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি শিশুকে দেওয়া হয় একটি করে আর্টপেপার, একবক্স করে রঙ পেন্সিল, একটি করে কেক। এক ঘন্টার চিত্রঙ্কণ প্রতিযোগিতায় শিশুরা মেতে উঠে রঙের খেলায়।শহীদ মিনার,জাতীয় পতাকা থেকে শুরু করে জাতীয় ফুল শাপলা রঙয়ে রঙয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে তারা।
বিচারকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রথম তিনজনকে উপহার দেওয়া হয়। সমাপনী বক্তৃতায় হুইসেলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ ইকবাল হোসেন হুইসেলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের গভর্নিং বডির চেয়ার, মোহাম্মদ শাহরিয়ার খানের পক্ষ থেকে হাজী নোয়াব আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন হুইসেল শিশুদের জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে স্বনির্ভর একটি ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে চলছে।ভবিষ্যতেও তাদের এ ধরণের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।হাজী নোয়াব আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাফিজা আক্তার উর্মি বলেন হুইসেল আমাদের বিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্যে এমন একটি হ্যাপিনেস প্রোগ্রাম আয়োজন করায় হুইসেল কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি,এবং তিনি আশা ব্যাক্ত করেন হুইসেল তাদের বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক যে কোন একটি ইভেন্ট যেনো ভবিষ্যতে করে।হুইসেলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার প্রধান শিক্ষিকার এ ধরনের ইচ্ছেকে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং ভবিষ্যতে এরকম আরো প্রোগ্রাম আয়োজন হুইসেল করবে বলে আশ্বস্ত করেন।।