চলতি বছর যে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটির জন্য সুখকর নয় তা নেটওয়ার্ক বিভ্রাট ও তথ্য ফাঁসের কয়েকটি ঘটনা থেকে আঁচ করা যায়। গত সপ্তাহে কয়েকজন গ্রাহক নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের অভিযোগ করে বলেন যে, তারা জরুরি পরিস্থিতিতে ৯১১-এ যোগাযোগ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এর সমাধান করা হয় এবং কারণ হিসেবে সফটওয়্যার ইস্যু উল্লেখ করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে এটিঅ্যান্ডটির নেটওয়ার্ক ১১ ঘণ্টা ডাউন ছিল। তখন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গ্রাহক কল, মেসেজ ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধার সম্মুখীন হন। তখন অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি জানায় যে, বিভ্রাটের কারণ অভ্যন্তরীণ, কোনো সাইবার হামলা নয়।
মার্চের শেষের দিকে এসে সাবেক ও বর্তমান ৭ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের তথ্য ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হয়। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব তথ্য ২০১৯ সালের বা তার আগের এবং সেখানে আর্থিক বা কল হিস্ট্রি সংক্রান্ত কোনো বিষয় ছিল না।
জুনে নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের ঘটনা ঘটলেও এটিঅ্যান্ডটি কারণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি। গত মাসে বড় আকারের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের প্রায় সব গ্রাহকের কল ও মেসেজ রেকর্ড ফাঁস হয়। তখন প্রতিষ্ঠানটির ওয়্যারলেস গ্রাহক ছিল প্রায় ১১ কোটি।
এই যে একের পর এক বিভ্রাট ও ফাঁসের ঘটনা ঘটছে, এর প্রধান কারণ হিসেবে মোবাইল ফোন কোম্পানি বিশ্লেষক সংস্থা বেসেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালেক্স বেসেন মনে করেন, প্রতিষ্ঠানটির পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের বিভ্রাট এড়াতে এটিঅ্যান্ডটিকে সেল টাওয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি, উন্নত লোড-ভারসাম্য কৌশল প্রয়োগ ও নেটওয়ার্ক অপ্টিমাইজেশন সরঞ্জামের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেইঞ্জ কলেজের ডিজিটাল মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক আরি লাইটম্যান বলেন, ‘মঙ্গলবারের ঘটনায় এটিঅ্যান্ডটি সফটওয়্যার ইস্যুর কথা বলেছে। তবে সফটওয়্যারেই সমস্যা ছিল নাকি এর বাস্তবায়ন অংশে তা পরিষ্কার করা হয়নি। এদিকে ক্রমাগত সমস্যার মীমাংসা না হওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। প্রায় ১১ কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে নতুন নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করাও হবে প্রতিষ্ঠানটির জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। সিএনএন