ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন ই-কমার্স গ্রুপ ফ্লিপকার্ট ভারতকে ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করতে পারে ভারত সরকার। ভারতের ঐতিহাসিক বিদেশি বিনিয়োগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই জরিমানা আদায়ের হুমকি দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফ্লিপকার্ট নিশ্চিত করেছে যে, এটি ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর তদন্তাধীন। যদিও সম্ভাব্য জরিমানার পরিমাণ নিশ্চিত করেনি তারা। তবে ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে গ্রুপটি ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এমন একটি সংস্থা যা আর্থিক অপরাধের তদন্ত করে। ফ্লিপকার্ট খুচরা খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে কিনা বের করতে ২০১৪ সালে সংস্থাটি একটি তদন্ত শুরু করে।
অ্যামাজনের সাবেক দুই কর্মী ২০০৭ সালে ফ্লিপকার্ট প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্লাটফর্ম বিকাশের অর্থ সংগ্রহ করে এটি ভারতের বিকাশমান ডিজিটালাইজেশন এবং স্টার্ট-আপ খাতের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। ওয়ালমার্ট ২০১৮ সালে ফ্লিপকার্টে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে একটি অংশ কিনে নেয়, যা ভারতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ।
ওয়ালমার্টের দ্বারা ফ্লিপকার্ট এর শেয়ার কিনে নেওয়ার কয়েক মাস পরেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার স্থানীয় খুচরা লবিস্টদের আক্রোশের জবাবে ই -কমার্স কোম্পানীর উপর কঠোর নিয়ম আরোপ করে। ই-কমার্স গ্রুপগুলোকে তাদের বিক্রি করা পণ্যদ্রব্যের যেকোন সমস্যা বা ত্রুটির জন্য দায়বদ্ধ করতে মোদি সরকার ভোক্তা সুরক্ষা বিধিগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করছে।
এছাড়াও খুচরা এবং ই-কমার্সে ভারতের এফডিআই পরিচালনাকারী জটিল নিয়মগুলো কয়েক বছর ধরে বারবার পরিবর্তন হয়েছে।