আমি বা আপনি ১১ বছর বয়সে কী করতাম? স্কুল থেকে এসে ডাংগুলি বা মার্বেল ছাড়া আর কিছু ভাবার অবকাশ ছিলো না।এই যুগের ছেলেরা বড়জোর ঐসব থেকে বেরিয়ে পাবজি বা ডোরি মনে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু কিং সিদ্ধার্থ নামে এক ভারতীয় ‘বালক’ কিন্তু তা করেনি।ঐ বয়সেই সে রীতিমত চিল্ড্রেন প্রোগ্রাম আয়োজন করা শুরু করে দিয়েছিলো; তাজ্জব হলো ঐসব সে টিকেটিং এর মাধ্যমে দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করতো! আর ঐ খান থেকেই তাঁর উদ্যোক্তা হওয়া শুরু! বাচ্চারা পারফর্ম করতেন আর দর্শক টিকিট কেটে দেখতে আসতো!
তবে শুধু এটুকুতেই কিং থামার পাত্র নন! তাঁর কমিউনিটির স্টুডেন্টদের টার্গেট করে সে নিয়ে আসে FriendZ নামে এক অনলাইন ম্যাগাজিন!
তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর কিং তার কাজকে একটু অন্যদিকে ফোকাস করান।নিতান্ত শখের বশে ওয়েভ ডেভেলপিং ও ডিজাইন শেখা শুরু করেন।আর বাজিমাত হয় কিসের মাধ্যমে জানেন? তাঁর ঐ অনলাইন ম্যাগাজিনটার কমিউনিটি মেম্বারদের মাধ্যমে!কারণ তার প্রথম কাজটা তিনি FriendZ এর মাধ্যমে আদায় করেন। এরপর তাঁর রাজকীয় যাত্রা শুরু!তাঁর ডিজাইনের উদ্ভাবনী গুণের কারণে তাঁর ক্লায়েন্ট বাড়তে থাকে রাতারাতি।দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও তাঁর কাজের ব্যাপ্তি পৌঁছে যায়।
তবে সিরিয়াল উদ্যোক্তা হওয়ার সুপ্ত বাসনা রয়েছে তাঁর; তাই শুরু করেন পাবলিক স্পিকিং। তাও মাত্র ১৭ বছর বয়সে।এ পর্যন্ত ৩০০ এর অধিক পাবলিক স্পিকিং অধিবেশন সে করে ফেলেছে; ভারতে সবচেয়ে কম বয়সে Ted Talks এ বক্তৃতা দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে কিং।
সম্প্রতি টিনএজারদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছেন কিং।কে জানে ঐখান থেকে হয়তো নতুন কোন আইডিয়ার জন্ম দিবেন তিনি।
ভারত সরকার তাঁকে ভারতের ২৫ জন প্রভাবশালী উদ্যোক্তার একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
যারাই ভাবেন – লেখালিখির জায়গা কই,এটা করে কী হবে,এসব কী আদৌ কোন রেজাল্ট নিয়ে আসবে! তাদের জন্য বলবো FriendZ হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বড় উদাহরণ।একটি প্ল্যাটফর্ম যা নিতান্তই শখের বশে শুরু করেছিলেন সিদ্ধার্থ, তা-ই আজ তাঁর চাকা ঘুরিয়েছে।