সামি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার হিসেবে কাজ করছিলেন। এরআগে তিনি এই প্রকল্পে কম্পোনেন্ট লিডার ছিলেন।
বুধবার তিনি স্টার্টআপ বাংলাদেশের এমডি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পান। সামি আহমেদের আগে কোম্পানিটির এমডি ছিলেন টিনা এফ জাবিন।
সামি আহমেদ ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (বর্তমানে ইনোভেট ফর অল)- এটুআই এর টেকনোলজি এক্সপার্ট হিসেবে যোগ দিয়ে এক বছর ৮ মাস কাজ করেন।
এটুআই হতে ২০১৪ সালে সফটওয়্যার রফতানিকারকদের সংগঠন বেসিসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।
তিনি ইউনিভার্সাল আইটি লিমিটেডের হেড অব অপারেশন, রেজ সিস্টেমসের আইটি কনসালটেন্ট ছিলেন। এছাড়া ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে নাজ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিয়ে কাজ করেছেন সাড়ে তিন বছর।
স্টার্টআপে বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়তে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি’ গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার।
সরকারের এই কোম্পানি হতে স্টার্টআপদেরকে মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে সিড স্টেজে সর্বোচ্চ ১ কোটি এবং গ্রোথ গাইডেড স্টার্টআপ রাঊন্ডে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এটি নিয়ে কাজ করছিলো তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই উদ্যোগ নিয়ে জানিয়েছিলেন, কোম্পানির কাজ মূলত বিকাশমান স্টার্টআপের পাশে দাঁড়ানো। এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোতে এই কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি সেগুলোর পরিচালনার অংশীদারও হবে।
‘সরকারের এক হাজার কোম্পানিতে বিনিয়োগের লক্ষ্য থেকে যদি একটি বিশ্বমানের কোম্পানি বেরিয়ে আসে তাহলে তা পুরাে দেশের চেহারা বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে,’ বলে আসছেন পলক।
ইতোমধ্যে কোম্পানিটি বেশ কিছু স্টার্টআপে বিভিন্ন স্টেজে বিনিয়োগ করেছে। এরমধ্যে পাঠাও লিমিটেড, সেবা এক্সওয়াইজেড, চালডাল ডটকম, ইনটেলিজেন্স মেশিন, ঢাকা কাস্ট, এডু হাইভ, মনের বন্ধু অন্যতম । এরা স্টার্টআপ বাংলাদেশ হতে ১৫ কোটি টাকা পেয়েছে।